দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হিসেবে থাকা ব্যক্তির সংখ্যায় শীর্ষ ষষ্ঠ স্থানে আছে বাংলাদেশ। রেমিট্যান্স গ্রহীতার তালিকায় চার বছর আগেও বাংলাদেশ শীর্ষ ১০-এর মধ্যে থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছিটকে গেছে। বর্তমান বিশ্বে ‘স্টেটলেস’ (রাষ্ট্রহীন) মানুষকে আশ্রয়দাতার শীর্ষস্থানটি বাংলাদেশের দখলে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) প্রকাশিত ‘বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২০’ ঘেঁটে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালের শেষ দিকে এসে বিশ্বে অভিবাসীদের উৎস দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে ভারত। এরপর যথাক্রমে মেক্সিকো, চীন, রাশিয়া, সিরিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ২০১০ সালে শীর্ষ ১০ রেমিট্যান্স গ্রহীতার তালিকায় নবম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ রেমিট্যান্স গ্রহীতার তালিকার দশম স্থানে নেমে আসে। ওই বছর বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালে রেমিট্যান্স গ্রহীতা দেশগুলোর শীর্ষ ১০-এর তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।

‘বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২০’-এর তথ্যে দেখা গেছে, বাংলাদেশে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়লেও অন্য দেশগুলোতে এর চেয়েও বেশি বেড়েছে। ২০০৫ সালে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স (২৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার) পেয়েছিল চীন। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল মেক্সিকো (২২ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার) এবং তৃতীয় অবস্থানে ভারত (২২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার)। ২০১০ সাল থেকেই ভারত সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০১০ সালে ভারত ৫৩ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার, ২০১৫ সালে ৬৮ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২০১৮ সালে ৭৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।

২০১৮ সালে শীর্ষ ১০ রেমিট্যান্স গ্রহীতা রাষ্ট্রের তালিকায় ঢুকেছে ভিয়েতনাম (১৫ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

প্রতিবেদনে এশীয় দেশগুলোর মধ্যে যে ২০ অভিবাসন করিডরের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাতে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ-ভারত। এ ছাড়া ১৯তম স্থানে আছে বাংলাদেশ-সৌদি আরব। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে অনানুষ্ঠানিক বিভিন্ন খাতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করছে। এ ছাড়া উপসাগরীয় দেশগুলোতে স্বল্প মেয়াদে কর্মী হিসেবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর অভিবাসীদের যাওয়ার তথ্যও রয়েছে প্রতিবেদনে।