দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারের মন্দা কাটাতে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। এ ইস্যুটিকে আরও পরিষ্কার করতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সাথে বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। আজ সোমবার বিকাল ৩টায় অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ৪ ডিসেম্বর, বুধবার প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারদের (ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত তহবিলের একটি রূপরেখা অর্থমন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবনা অনুসারে, আলোচিত তহবিলের আকার হতে পারে ১০ হাজার কোটি টাকা। তহবিলের মেয়াদ হবে ৬ বছর। প্রস্তাবিত সুদের হার ৩ শতাংশ। প্রথম ২ বছর হবে গ্রেস পিরিয়ড। এ সময়ে তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে না। পরবর্তী চার বছরে তা সুদ-আসলে ফেরত দেওয়া হবে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, শুধু সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগের জন্য এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। আর এই সুবিধা ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

উল্লেখ, পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটানো ও এখানে গতি ফেরানোর লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সঙ্গে গত ২০ নভেম্বর নেতৃস্থানীয় ৭ জন ব্রোকার বৈঠক করেন। তারা হচ্ছেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস, সিটি ব্রোকারেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আফফান ইউসুফ ও এআইবিএল ক্যাপিটালের পরিচালক মোঃ রেজাউর রহমান।

বৈঠকে ব্রোকাররা বাজারে তারল্য বাড়াতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার প্রস্তাব দিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বিস্তারিত ও লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়ার আহ্বান জানান। তার প্রেক্ষিতেই আজ তাদের পক্ষ থেকে আলোচিত প্রস্তাবনাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান প্রস্তাবনা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সরকার পুঁজিবাজারে গতি ফেরানোর বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক। আমরা মনে করি, প্রস্তাবিত তহবিলটি অনুমোদন পেলে বাজারের তারল্য সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। বাজার গতিশীল হয়ে উঠবে।