দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারের মন্দা কাটাতে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। এ ইস্যুটিকে আরও পরিষ্কার করতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সাথে বৈঠক করছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে শেয়ারবাজারের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা চেয়ে প্রস্তাবটি সরকার ইতিবাচক ভাবে নিয়েছে। এ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

শেয়ারবাজারের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সাথে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের মন্দা কাটাতে সরকারের কাছে স্টেকহোল্ডাররা যে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে তা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকার ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া খুব শীঘ্রই এ নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামতের জন্য পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ, পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটানো ও এখানে গতি ফেরানোর লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সঙ্গে গত ২০ নভেম্বর নেতৃস্থানীয় ৭ জন ব্রোকার বৈঠক করেন। তারা হচ্ছেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান,

ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস, সিটি ব্রোকারেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আফফান ইউসুফ ও এআইবিএল ক্যাপিটালের পরিচালক মোঃ রেজাউর রহমান।

বৈঠকে ব্রোকাররা বাজারে তারল্য বাড়াতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার প্রস্তাব দিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বিস্তারিত ও লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়ার আহ্বান জানান। তার প্রেক্ষিতেই আজ তাদের পক্ষ থেকে আলোচিত প্রস্তাবনাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান প্রস্তাবনা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সরকার পুঁজিবাজারে গতি ফেরানোর বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক। আমরা মনে করি, প্রস্তাবিত তহবিলটি অনুমোদন পেলে বাজারের তারল্য সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। বাজার গতিশীল হয়ে উঠবে।

১০ হাজার কোটি টাকা শুধুমাত্র শেয়ারবাজারের জন্যই ব্যবহার করা হবে বলেও লিখিত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যা একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। একইসঙ্গে ওই টাকার ব্যবহার নিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে বলে জানানো হয়েছে।