দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্কয়ার ফার্মার মত স্কয়ার হাসপাতালকেও প্রথম স্থানে থাকতে হবে। দ্বিতীয় হওয়া যাবে না বলে মস্তব্য করেছেন অধ্যাপক আবু আহমেদ। গতকাল কোম্পানির ৫৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, স্কয়ার গ্রুপের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ থাকার পরও আমি এজিএম এ কখনো আসিনি। কারণ তাদের পরিবারের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকায় তাদের প্রতি আমার আস্থা আছে। তবে আজ ইচ্ছে হওয়ার কারণে এসেছি। তিনি আরও বলেন, স্কয়ার ফার্মা নিয়ে আমার তেমন কিছু বলার নেই। তবে স্কয়ার হাসপাতাল নিয়ে আমার বলার আছে। ওষুধ খাতে স্কয়ার ফার্মা যেমন প্রমথ স্থানে রয়েছে ঠিক তেমনি হাসপাতাল খাতেও স্কয়ার হাসপাতালকে প্রথম স্থানে থাকতে হবে। এজন্য যা করার প্রয়োজন আপনারা করবেন বলে আমি আশা করি। বক্তব্যে তিনি স্যামসন এইচ চৌধুরীকে স্মরণ করেন এবং তার সাথে কাটানো বেশ কিছু মূহুর্ত নিয়ে কথা বলেন। এজিএম-এ কোম্পানির এজেন্ডাসহ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ। গত ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৪৯ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ নগদ এবং ৭ শতাংশ বোনাস। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান সামিউল এস চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, স্কয়ার বিনিয়োগকারীদের সাথে ছিলো এবং আছে। স্কয়ারের উপর আপনাদের যে আস্থা আছে সেটা আপনারা রাখবেন। আমরা সব সময় ভালো করার চেষ্টা করি। তিনি আরো বলেন, আমাদের কর্মচারীরা খুবই বিশ্বস্ত। তারা তাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেন। আমরা বিনিয়োরকারীদের সহযোগিতা চাই। এ দীর্ঘ পথ চলার জন্য আপনাদেরকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সর্বশেষ অর্থবছরে (২০১৮-২০১৯) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১৬ টাকা ৩ পয়সা। ৩০ জুন,১৯ শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৩ পয়সা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান রত্না পাতরা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, পরিচালক আনজান চৌধুরী ও কাজী ইকবাল হারুন, স্বতন্ত্র পরিচালক এস এম রেজাউর রহমান এবং কোম্পানি সেক্রেটারি খন্দকার হাবীবুজ্জামানসহ কর্মকর্তা ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ।