দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : আমরা এমন পণ্য তৈরী করি সবগুলোই আমাদের কনজুমার পণ্য। আমরা সাধারণ মানুষের ওপরে নির্ভরশীল। তাই যদি মানুষ আমাদের পণ্য না কেনে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক তাসভিরুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।

তিনি বলেন, আমাদের পারফমেন্স এত খারাপ ছিলো না। ইতোমধ্যে আপনারা জানেন আমরা কিছু নতুন পণ্য ইনট্রোডিউজ করেছি মার্কেটে। আমাদের প্রোডাক্ট আরো বেশি সেলস হতো কিন্তু আমরা পোডাক্ট প্রোডাকশন সঠিক ভাবে করতে পারি নাই। তিনি শেয়ার মার্কেটের দূরাবস্থার কতা উল্লেখ করে বলেন, আমরা যাই করি না কেন আজকে আমাদের দেশে যারা শেয়ার মার্কেটের সাথে জড়িত তারা আমরা সর্বহারা হয়ে গেছি। আমাদের কোম্পানির পারফমেন্স আগের চেয়ে এবার হয়তোবা একটু ভালো দেখা যাচ্ছে কিন্তু ততোটা ভালো নয়। আমরা ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ইনস্ট্যাবলিটি সাফার করছি।

তিনি বলেন, বিশ্বে ডলাদের দাম বেড়ে যাচ্ছে আমাদের ইমপোর্ট প্রাইস বেড়ে যাচ্ছে। আমরা সেলস প্রাইস বাড়াতে পারছি না। আপনারা সাধারণ ভাবে জানেন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন যে অবস্থা দেশে কৃষি বাংলার কোন অবস্থা নাই। কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে না পাটের দাম পাচ্ছে না। কোন কৃষি দ্রব্যের মূল্য পাচ্ছে না। সেই অবস্থাতে আমরা একটা প্যারাডক্স সিচ্যুয়েশনে আছি।

তাসভিরুল ইসলাম বলেন, আমরা আজকে বলছি এবারও নাকি আমাদের ৮.১ জিডিপি গ্রোথ হবে। কিন্তু সেটা ঠিক হতে পারে কিনতু সেটা কোথায় হচ্ছে কিভাবে হচ্ছে সেটা আমরা সাধারণ জণগন সেইটার যে ইফেক্ট কিছ্ইু দেখতে পাচ্ছি না। কারণ আমরা সব সময় মার্কেটে থাকি এবং মার্কেটে আমরা বুঝতে পারি মানুষের হাতে কোন সময় টাকা থাকে।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা বা ৩৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে ইপিএস কমেছে ৫২ পয়সা বা ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩২ টাকা ৩৬ পয়সা। বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির নতুন চেয়ারম্যান ডা. রেয়ান আনিস ইসলাম। এর আগে প্রায় এক যুগ সময় কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ছিলেন আনুয়ারুল ইসলাম। তিনি আজ উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)তানভির উল ইসলাম, পরিচালক নাফিসা কশেম, সামিদ কাশেম ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরিচালক মীর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।