দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরামিট সিমেন্ট গত ৩ অর্থবছর ধরে লোকসানে রয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান। কিন্তু এই ব্যবসায়িক মন্দাবস্থার কোম্পানিটি থেকে পরিচালনা পর্ষদ নিজেদের অন্যান্য ৪ কোম্পানিতে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ঋণের নামে প্রায় ৬৪ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছেন। এক্ষেত্রে কোম্পানি আইন ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নোটিফিকেশন লংঘন করা হয়েছে। এছাড়া ২ সহযোগি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস) অনুসরন করা হচ্ছে না।

আরামিট সিমেন্টের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, সহযোগি আরামিট পাওয়ার ও আরামিট আলু কম্পোজিট প্যানেলে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আরামিট সিমেন্ট। আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)- ২৮ অনুযায়ি, ওই বিনিয়োগকে ইক্যুইটি পদ্ধতিতে দেখানো বাধ্যতামূলক হলেও আরামিট সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ তা করে না। তারা প্রতিবছরই বিনিয়োগ একই পরিমাণ দেখিয়ে আসছে। অথচ ইক্যুইটি পদ্ধতিতে ওই বিনিয়োগ কম-বেশি হওয়ার কথা। আর্থিক হিসাবের নোট ৯ অনুযায়ি, আরামিট সিমেন্টের পরিচালকদের অন্যান্য ৪ কোম্পানিতে ৬৩ কোটি ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৫ টাকা পাওনা রয়েছে। যা স্বল্পমেয়াদি ঋণ হিসাবে প্রদান করা হয়েছিল। যা প্রদানের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনের ১০৩ ধারা ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নোটিফিকেশন বিএসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৫-১৫৯/এডমিন/০২ অনুযায়ি সাধারন সভার অনুমতি লাগে। কিন্তু এ জাতীয় কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। আরামিট সিমেন্টের পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।