দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : বর্তমান মন্দ পুঁজিবাজার পরিস্থিতিতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দর। যদিও এসব কোম্পানির শেয়ারের দর কমা-বাড়া এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে নির্ভর করে যা ওপেন সিক্রেট। তবে ভালো শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দরপতনের মাঝে তথাকথিত লোকসানি জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দর বৃদ্ধি বাজারের জন্য নেতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে জেড ক্যাটাগরির মেঘনা পেট এবং মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ার দর ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করেছে। মেঘনা পেটের শেয়ার দর টানা তিন কার্যদিবস ধরে বেড়ে সর্বশেষ ৯.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ১২ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার দর টানা দুই কার্যদিবস বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষ ১১ টাকায় লেনদেন হয়।  কোম্পানিটির ১৬ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৮৫ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ মেঘনা গ্রুপের এই দুই কোম্পানির অস্তিত্ব টিকে থাকা নিয়ে নানা সংশয় রয়েছে।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উল্লেখিত দুই কোম্পানি ছাড়াও ইমাম বাটন, জিলবাংলা ও শ্যামপুর সুগারের শেয়ার দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এগুলো সবই লোকসানি জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি। এর মধ্যে ইমাম বাটনের শেয়ার দর বৃদ্ধি চোখের পড়ার মতো। টানা তিন কার্যদিবস ধরে ইমাম বাটনের শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষ ২৫.৪০ টাকায় লেনদেন হয়। কোম্পানির ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৩ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির লোকসান দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জিলবাংলার শেয়ার দর ৯.৯৬ শতাংশ বা ২.৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষ ৩০.৯০ টাকায় লেনদেন হয়। ৬ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে শ্যামপুর সুগারের শেয়ার দর ৯.৮৫ শতাংশ বা ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষ ২২.৩০ টাকায় লেনদেন হয়। ৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৪২৯ কোটি টাকা।