দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে বিদেশীরা নিজেদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন না।বরং বাজারের বর্তমান অবস্থায় সামনে বিদেশীদের বিনিয়োগ বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিএসইসির কমিশনার স্বপন কুমার বালার সভাপতিত্বে অংশ নেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও শীর্ষ ব্রোকারদের প্রতিনিধি দল। বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে এক জরুরী বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা এমনটি জানিয়েছেন।

বিএমবিএ’র সাধারন সম্পাদক রিয়াদ মতিন বলেন, পুঁজিবাজারের চলমান অবস্থা নিয়ে কমিশন আজকে জরুরী বৈঠক ডেকেছিল। তারা আমাদের কাছে বিদেশীরা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এমন খবরের বিষয়ে জানতে চান। এ খবর সঠিক নয় বলে কমিশনকে অবহিত করেছেন বিদেশীদের বড় পোর্টফোলিও মেইনটেইন করা ব্র্যাক ইপিএল, আইডিএলসি, সিটি ব্রোকারেজসহ অন্যান্য হাউজের প্রতিনিধিরা। একইসঙ্গে বর্তমান শেয়ারের নিম্ন দরের কারনে সামনে বিদেশীদের বিনিয়োগ বাড়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তারা।

রিয়াদ মতিন বলেন, আগামি ২০ তারিখে আসন্ন অর্থ মন্ত্রণালয়ের শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কমিটির সঙ্গে বৈঠকে নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। কমিশন আমাদেরকে ওই বৈঠকে পুঁজিবাজারের জন্য করণীয় এবং কার্যকরি প্রস্তাব রাখার জন্য বলেছেন। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক বলেও জানিয়েছেন।

লেনদেনের শুরুতে পেনিক সেল বেশি হয় বলে কমিশন জানিয়েছেন। তাই এই পেনিক সেল থামানোর জন্য সবাইকে পদক্ষেপ নিতে বলেছে। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে, তা কিভাবে ফেরানো যায়, সে বিষয়ে কাজ করার জন্য বলেছেন বলে জানান রিয়াদ মতিন। আর বাজারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান করেছেন।

বিএমবিএ’র সাধারন সম্পাদক বলেন, সরকারি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে অব্যবহৃত ফান্ড ফেরত নেওয়া নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সৃষ্ট আতঙ্কের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি কোম্পানি থেকে ফেরত নেওয়া জটিল এবং প্রায় অসম্ভব। কারন ওই ফান্ডে সরকারের পাশাপাশি অনেক সাধারন বিনিয়োগকারীর মালিকানা রয়েছে। তাই চাইলেই ওই ফান্ড নেওয়া সম্ভব হবে না।

বিএসইসির কমিশনার স্বপন কুমার বালার সভাপতিত্বে অংশ নেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও শীর্ষ ব্রোকারদের প্রতিনিধি দল।