দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে শীঘ্রই অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাবনা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুঁজিবাজারে মধ্যস্থকারীদের ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুঁজিবাজারের চলমান সংকট নিরসনে এবং বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে রোববার অর্থমন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিএমবিএ এর সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, খুবই সুন্দর পরিবেশে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবনার বিষয়ে মন্ত্রণালয় যেসব তথ্য জানতে চেয়ে তার ইতিবাচক তথ্য প্রদান করা হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম এবং বিএমবিএ এর সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক রিয়াদ মতিনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর, প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারদের (ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) পক্ষ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিলের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।

প্রস্তাবনা অনুসারে, আলোচিত তহবিলের আকার হতে পারে ১০ হাজার কোটি টাকা। তহবিলের মেয়াদ হবে ৬ বছর। প্রস্তাবিত সুদের হার ৩ শতাংশ। প্রথম ২ বছর হবে গ্রেস পিরিয়ড। এ সময়ে তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে না। পরবর্তী চার বছরে তা সুদ-আসলে ফেরত দেওয়া হবে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, শুধু সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগের জন্য এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। আর এই সুবিধা ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।