দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে স্থিতিশীল রাখতে হলে টানা উত্থানের বিকল্প নেই। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে অধিকাংশ শেয়ার বিনিয়োগের দাবী। কোথাও থেকে মার্কেটকে সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। আজ সূচক যেভাবে টেনে তোলা হয়েছে তা থেকেই এটা পরিষ্কার। আমরা এই সাপোর্টকে নেগেটিভ দেখছিনা। তবে প্রশ্ন হলো, এই সাপোর্টের গভীরতা কত সেটিই বিবেচ্য বিষয়।

২০১৯ সালের পুরো বছর জুড়ে যেভাবে সূচক শুধু পড়েছে, ২০২০ সালের পুরো বছর জুড়ে যদি সেভাবে বাজার বাড়তে থাকে তাহলেই বিনিয়োগকারীদের মনে আস্থার সঞ্চার হবে। কিন্তু এক দু’দিন চাঙ্গা থাকার পরই যদি বাজার আবার মাইনাসে চলে যায় তাহলে তো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কনফিডেন্স গ্রো করবেনা।

বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আনার জন্য এবং যারা আছে তাদেরকে আস্থায় ফেরানোর জন্য এখন জরুরীভাবে প্রয়োজন কয়েক দিনের টানা চাঙ্গা ভাব। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থমন্ত্রনালয় এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারগন এবার বাজার চাঙ্গা রাখতে যেভাবে দৌড় ঝাপ করেছেন এবং নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছেন তাতে এ বছরের পুরো সময় জুড়েই বাজারে একটি স্থায়ী স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় থাকবে এমনটাই আশা সব মহলের।

রবিবারের মতো গতকাল উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসাথে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটর দর কমেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৩৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭, ডিএসই-৩০ সূচক ২৮ এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০১৫, ১৫১৫ ও ৯০৯ পয়েন্টে।

ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৯৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৮৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৯টির বা ৪২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৬১টির বা ৪৫ শতাংশের এবং ৪৪টি বা ১৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা এসএস স্টিলের ২৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার এবং ২৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে লাফার্জহোলসিম। ডিএসইর টপটেন লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে: স্কয়ার ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, বিকন ফার্মা, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, খুলনা পাওয়ার, এডিএন টেলিকম এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৭০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দর। সিএসইতে ৭৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।