আবু সাঈদ চৌধুরী, জবি, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের বিভক্ত দুইটি অংশ আলাদা দুইটি প্যানেলে এবারও নির্বাচন করছেন। কয়েকবছরের ন্যায় এবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না জাতীয়তাবাদী ও ইসলাম পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদাদলের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

তবে প্যানেল ছাড়াই সভাপতি পদে সভাপতি পদে অংশগ্রহণ করছেন ‘জয় বাংলা শিক্ষক সমাজে’র আহবান ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। ক্ষমতাসীন নীল দলের দুই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে লড়ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ এবং একাউন্টিং এবং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত জাহাঙ্গীর।

এবার নির্বাচনে ৬টি পদে মোট ৩১ জন পদ প্রত্যাশী শিক্ষক লড়াই করছেন এবং মোট ভোটার ৬৭৮ জন। এদের মধ্যে থেকে ১৫ জন নির্বাচিত হবেন। সদস্যপদে ১০ জন ও বাকি ৫ পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩ জন, সহ-সভাপতি পদে ২জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ২জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন এবং সদস্য পদে ২০ জন শিক্ষক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

জানা যায়, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে প্রতিদন্দীতা না করলেও বিএনপি ও জামাত পন্থী শিক্ষকরা নীল দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রদল ও শিবিরের পদধারী নেতারা মোড়ক পরিবর্তন করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের লেবাস লাগিয়ে তাদের সাথে কাজ করছেন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় শিবিরের এক সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শিবিরের এস এম হলের অর্থ সম্পাদকের দায়িত্বপালনকারী এক নেতা নীল দলের এক শীর্ষ নেতার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

শিক্ষক সমিতি নীলদলের (গঠনতান্ত্রিক) সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. শওকত জাহাঙ্গীর বলেন, মাত্র ১৪ বছরে উন্নয়ন ও আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আমি মনেকরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখার মত অবস্থান রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যা আমরা দেখতে পাই। বিগত সময়গুলোতে আমাদের শিক্ষক প্রতিনিধিদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো ভূমিকা রাখতে দেখার যায়রি। এছাড়াও সারা বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে।

শিক্ষক সমিতি নীলদলের (একাংশ) সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, আমি আমার জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ন আশাবাদী। আমাদের তিন দলের মধ্যে সমঝোতা হলে আরও ভালো হতো। আমাদের মাঝে অনৈক্য একধরনের বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে।

জয় বাংলা শিক্ষক সমাজের প্রার্থী অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আমি বিজয়ী হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার মত নের্তত্ব আমাদের শিক্ষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের নীলদলে অনেক বিএনপি-জামায়াত লুকিয়ে আছে। যারা সুবিধাবাদী আচরন করে। আমি নির্বাচিত হলে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তবু্িদ্ধর চর্চা ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার আহবান ছড়িয়ে দেবো। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে সাদা দলের সভাপতি ড. মোশারফ ও সাধারণ সম্পাদ ড. রঈচ উদ্দিনকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।