দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বরিশালের নগরপিতা ও মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল আ’লীগ নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা। তেমনি সাদিক আবদুল্লাহ শুধু একজন নেতা নয়, তিনি সত্যিকার অর্থে একজন চেইঞ্জ মেকার। একটি দেশের সার্বিক ও সুষম উন্নয়ন তখনই ঘটে যখন দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের উন্নয়নে উদ্ভাবনী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। স্থানীয় সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সেই কাজ সঠিকভাবে করতে সক্ষম হয়েছে বলে আমরা মনে করি। কারন তিনি নগরপিতা হওয়ার পর বরিশালের চেহারা যেমনি পরিবর্তন ঘটছে, তেমনি সিটি কর্পোরেশনে অনেক চেহারা পাল্টে গেছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সাদিক আবদুল্লাহ ‘‘আমরাই গরবো আগামীর বরিশাল”  স্লোগানে বরিশালবাসীর হৃদয়ে স্বপ্নের জাল বুনে যেন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন তা ধীরে ধীরে বরিশাল বাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, সিটি কর্পোরশেন হলো বরিশাল বাসীর ঠিকানা আর আমি হলাম ঐ প্রতিষ্ঠানের সেবক। সুতারাং সেবা দেয়া আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সাদিক আবদুল্লাহ অন্য সকল সিটির মেয়র প্রার্থীদের থেকে আলাদা।

কারন তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের যেমন সুখে দু:খে পাশে থাকেন। তেমনি সিটি জনগনের সব সময় পাশে থাকেন। তার বক্তব্য সিটি বাসীর জন্য আমার দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা। নগরবাসীর যে কোন বিপদ আপদে আমি পাশে আছি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর এখন সকাল-সন্ধ্যা কাটে সাধারণ মানুষকে নিয়ে।

সাদিক মনে করেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার দাদা, বাবা সবাই বরিশালের মাটিতে রাজনীতি করেছে। আমিও তাদের বাইরে নই। আমি কোন কুট রাজনীতি বুঝি না। ওই রাজনীতি করতেও চাই না। দেশ ও বরিশালের উন্নয়নের জন্য কোন কাজই আমি ভয় পাই না। আমি জনগনের মাঝেই থাকতে চাই। জনগনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়েই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের ভালোবাসাকে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন মেনে নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই বড় সিটির মানুষের কল্যাণে, দলের কল্যাণে।

সাদিক আবদুল্লাহ’র বাবা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী রাজনীতির কর্ণধার। শুধু আওয়ামী লীগের কর্ণধার বললে কিছুটা ভুল হবে। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক। সকল দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা ভরে দেখেন তাকে। তার বাবা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছিলেন গরীব মেহনতি মানুষের নেতা।

তবে এ শহীদ নেতা ‘নেতার’মতো আচরন করেন নি কখনো। খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণের বন্ধু ছিলেন আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। তারই সুযোগ্য পুত্র আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। যার হাত ধরে-ই বিশৃঙ্খল বরিশালে ফিরেছে শৃঙ্খলা, বিরাজ করছে শান্তি। দক্ষিণাঞ্চলের এই রাজনৈতিক অভিভাবকের উত্তরসূরী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। খুব স্বল্প সময়ে সকল বয়সী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এই তরুন নেতা।

তৃর্নমুল নেতাকর্মীদের মতে, ‘সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মাঝেই দেখা যায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের প্রতিচ্ছবি, আর যার শরীরে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতার রক্ত তার চেয়ে কে ভালবাসতে পারবে আ’লীগকে। যার প্রমান স্বরুপ তিনি আ’লীগের মহানগরের সাধারন সম্পাদক। তরুন এ নেতার প্রশংসার পঞ্চমুখ বরিশাল জেলা ও মহানগর আ’লীগের সিনিয়র নেতারাও।

কারন তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বরিশাল নগরী পরিণত হয়েছে আনন্দের নগরী। বরিশাল মহানগর আ’লীগ নেতা সাদিক আব্দুল্লাহর সুষ্ঠু নেতৃত্বে সুন্দর ও শান্তি ফিরেছে বরিশালে। তার ডাকে বরিশাল মহানগরের ও ওয়ার্ড আ’লীগ এবং ১০ উপজেলাসহ সকল নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ওঠে। প্রতিটি এলাকায় তার নেতৃত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু বরিশাল নয় বরিশালের অজপাড়া গায় একটি নাম উচ্চারিত হচ্ছে তা হলে সাদিক আবদুল্লাহ।

তাই বরিশাল সিটির নগরপিতা সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল বাসীর জন্য আর্শিবাদ। দলের কোন নেতা-কর্মী অথবা কারো কোন মানুষের বিপদের কথা শুনলেই ছুটে যান সেখানে তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুন নেতা কর্মীদের মন জয় করে নিয়েছেন। যার ফলে তরুন নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ যেভাবে মানুষের মতে জায়গা করে নিচ্ছেন তাতে বলাই যায়, বরিশালের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আকাশে উজ্জল নক্ষত্র তিনি।

এছাড়া সাদিক আবদুল্লাহ নেতৃত্বে বরিশালের আ’লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে নগরবাসীর দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন। তেমনি আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গত এক দশকের উন্নয়ন পরিক্রমা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার বার্তা জানিয়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন তারা।

নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ভোটারদের দুয়ারে যাচ্ছেন বরিশালের আ’লীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেকাকর্মীরা। গত ১৫দিন ধরে দিনরাত এক করে প্রার্থীর জন্য ভোট চাচ্ছেন তারা। তেমনি সাদিক আবদুল্লাহ তার নেতাকর্মীদের সব সময় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তেমনি তার ভালবাসা এমন নেতাকর্মী খাচ্ছেন কিনা তাও নিয়ে সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার কান্ডারী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ভাইয়ের নৌকার পক্ষে গনজেয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারন সহ মহলে আলোচনা কে হচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির অভিবাভক। তবে ভিন্ন ভিন্ন জরিপে এগিয়ে আছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ বিষয় বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আহসান আমীন বলেন, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ভাই’র বিষয় বলার মত যোগ্যতা আমার নেই। তিনি শুধু একজন নেতা নয়, তিনি সত্যিকার অর্থে একজন চেইঞ্জ মেকার। আর বরিশাল বাসীর জন্য আর্শীবাদ।

এ বিষয় বরিশাল ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শাহাদাত উল ইসলাম সুমন বলেন, সাদিক আবদুল্লাহ ভাই শুধু আমাদের নেতা নয় আমাদের অভিবাভক। তিনি নেতাকর্মীদের সব সময় সুথ দু:খে পাশে থাকেন। তিনি আমাদের আশ্রয়স্থল।

এ বিষয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ কৃষি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কে এম রাসেল বলেল, সাদিক আবদুল্লাহ তরুন প্রজন্মের আস্থা ও ভালবাসা ও নির্ভরতার প্রতীক। তিনি শুধু বরিশালের নয় বিভাগবাসীর অভিবাভক। কারন সুখে দু:খে তিনি নেতাকর্মীদের সব সময় পাশে থাকেন।