দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেছেন, কর্পোরেট গভর্নেন্স ফ্যামিলি গভর্নেন্সের পরিণত হয়েছে। এই ফ্যামিলি গভর্নেন্সের কালচারটা পরিবর্তন করতে হবে। শুধু অডিটর্স নয়, অ্যাকাউন্ট প্রিপেয়ারে যারা আছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার সক্ষমতা কর্পোরেট গভর্নেন্স ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের আছে, এটার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। যদি গভর্ন্যান্স কোড মেইনটেইন না করে তাহলে তো সেটা ফ্রিল্যান্সিং। যেকোনো জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন।

বর্তমান অবস্থায় ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল থেকে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। এ বাস্তবতা আমরা দেখতে ও বুঝতে পেরিছি। সুতারাং আমাদেরকে ক্যাপিটাল মার্কেটে আসতে হবে। আর জনগণকে ক্যাপিটাল মার্কেটমূখী করতে কর্পোরেট গভর্নেন্সের স্বচ্ছতা সবচেয়ে জরুরি।বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিতি অডিট ভবনে ‘দ্যা ইনস্টিটিউট অব ইন্টারনাল অডিটর্স, বাংলাদেশের খসড়া আইন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, বলতে পারেন আমার জবাবদিহিতার কথা। আমিওতো একটি প্রতিষ্ঠানে কর্পোরেট গভর্নেন্স দেখি, যা আমাদের প্রধানতম কাজ। অডিটররা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা রুলস রেগুলেশন তৈরি করেছি। আমাদের সে সক্ষমতা আছে। তারপরেও সকল ক্ষেত্রে সফল হয়েছি আমরা বলব না, আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

২০১১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অনেক সৎকার এবং কাজ হয়েছে উল্লেখ করে হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, এখন আমরা একটি ভালো গন্তব্যে অগ্রসর হতে চাই। আমাদের সেই গন্তব্যের সারথি হিসেবে ‘দ্যা ইনস্টিটিউট অব ইন্টারনাল অডিটরস বাংলাদেশ যদি নতুন আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে, তাহলে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও যারা প্রফেসনালস তৈরি করছে তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে। এবং তা আমাদের উদ্দেশ্য পূরণে সহায়ক হবে।

নিজামী আরো বলেন, কর্পোরেট গভর্নেন্স বলতে মূলত আমাদের দেশে সাধারণত ফ্যামিলি গভর্নেন্স বুঝায়। এই ফ্যামিলি গভর্নেন্সের কালচারটা আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কঠোর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। শুধুমাত্র অডিটরস নয়, অ্যাকাউন্ট প্রিপেয়ারে যারা আছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার সক্ষমতা কর্পোরেট গভর্নেন্স ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের আছে, এটার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে অডিট রিপোর্টের কোনো ডাটা সার্ভার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবদি অডিট রিপোর্টের কোনো ডাটা সার্ভার নেই। আমি জানি এসবে বাধা আসবে। আমরা চাই যে, একটি সেন্ট্রাল অডিট রির্পোটের ডাটা সার্ভার যদি থাকে তাহলে রিপোর্ট তৈরিতে সমস্ত খারাপ উদ্দেশ্য কন্ট্রোল করা যাবে। এটি বাস্তবায়নে উপস্থিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। কর্মশালায় প্রধান অতিথি কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল অব বাংলাদেশ মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মো: জাফর উদ্দিন।