দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে ব্যাংকগুলো। তারা নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো, যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। তবে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে। ঋণ সীমার সর্বোচ্চ মেয়াদ ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের “ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন” এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।

সার্কুলারে বলা হয়, আর্থিক খাতের প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকসমূহের বিনিয়োগের নির্দিষ্ট সীমা ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০১৮ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ২৬ক ধারায় বিধৃত আছে। দেশের পুঁজিবাজার এবং মুদ্রাবাজারের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনকারী হিসেবে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সে হিসেবে পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। দেশের পুঁজিবাজারে বিরাজমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পর্যালোচনায় পরিস্থিতি উন্নয়নে অন্যান্য ব্যবস্থাদি গ্রহণের পাশাপাশি বাজার মধ্যস্থতাকারীদের তারল্য সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বলাভ করেছে।

সার্বিক বিষয় বিবেচনান্তে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত তারল্য প্রবাহ বজায় রাখার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অধীনে তফসিলি ব্যাংক, তফসিলি ব্যাংকসমূহের ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর অধীনে গঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট ব্যাংক ও ডিলার লাইসেন্সধারী ব্রোকারেজ হাউজ) এবং অন্যান্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ (ডিলার)-কে শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় তহবিল সরবরাহের নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

তবে এই তহবিলের বিনিয়োগ অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) বা ঋণ আমানত অনুপাত হিসাবায়নের অন্তর্ভুক্ত হবে না। এরূপ ঋণ দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে, চলমান ঋণ হিসেবে বিবেচনাপূর্বক সিআইবিতে রিপোর্ট করতে হবে।

নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে দেশের প্রত্যেকটি তফসিলি ব্যাংক। নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ড এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। আমি ব্যাংক কোন সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে।

এক্ষেত্রে প্রতি তিন মাস পর পর ব্যাংক হিসাব এবং বিও হিসাবসমূহের বিবরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য অতিরিক্ত ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। সংশ্লিষ্ট ঋণদানকারী ব্যাংক গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেওয়া নির্ধারিত ছকে স্থাপন করবে। এই তথ্য নির্ধারিত তিন মাস পর পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠানোর কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।