দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। এদিন মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে ৩ কোম্পানি ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে সব থেকে বড় অবদান রেখেছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও কেপিসিএল এবং লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট। শেয়ারবাজারের স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেকটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো, যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। আর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ সাত শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই সুবিধা দেয়ার পর মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন দেখা দেয়।

বুধবারও বাড়ে সবকটি সূচক। আগের দুই কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। আজ সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ইউনাইটেড পাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এই দাম বাড়ার ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট। আর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা।

ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়াতে ইউনাইটেড পাওয়ারে পর বড় অবদান রেখেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। বহুজাতিক এই কোম্পানিটি ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৯ পয়েন্ট। এছাড়া পাওয়ার গ্রীড ২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট, খুলনা পাওয়ার ২ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল ২ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাস ১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ১ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট, এমএল ডাইং ১ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট, বিএসআরএম স্টিল ১ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট এবং এমজেএল বাংলাদেশ ১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।

অপরদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকে সব থেকে বেশি ঋণাত্মক প্রভাব ফেলেছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানটির কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে দশমিক ৭৪ পয়েন্ট। এর পরের স্থানে রয়েছে রেনেটা। এই কোম্পানিটির কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে দশমিক ৬৭ পয়েন্ট। এর পরের স্থানে থাকা ইস্টার্ন ব্যাংক দশমিক ৬৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।

এছাড়া বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল দশমিক ২২ পয়েন্ট, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ দশমিক ২২ পয়েন্ট, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স দশমিক ১৭ পয়েন্ট, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক দশমিক ১৭ পয়েন্ট, সমতা লেদার দশমিক ১৬ পয়েন্ট, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ দশমিক ১৫ পয়েন্ট এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল দশমিক ১৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।