দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে লোকসানে রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৪টি প্রতিষ্ঠান। জুন ক্লোজিং কোম্পানির মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮০টি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানিগুলোর প্রকাশিত অনিরীক্ষিত হিসাব পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আর আগের বছরের দুই প্রান্তিকের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ৯২টি কোম্পানির। আর মুনাফা কমেছে ৫৪টি কোম্পানির। অনিরীক্ষিত হিসাবের ভিত্তিতে কোম্পানিগুলোর প্রকাশিত ইপিএস পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্যমতে, জুন ক্লোজিং শেষে যে কোম্পানিগুলো লোকসান করেছে সেগুলো হচ্ছে জুট স্পিনার্স, এসিআই লিমিটেড, শ্যামপুর সুগার, জিলবাংলা সুগার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, বিডি ল্যাম্পস, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, ইস্টার্ন কেবল্স, অলটেক্স, আরামিট সিমেন্ট, বেক্সিমকো সিনথেটিক্স, দুলামিয়া কটন, তসরিফা, উসমানিয়া গ্লাস, সাফকো স্পিনিং, এমআই সিমেন্ট, জাহিনটেক্স, মোজাফ্ফর হোসাইন স্পিনিং, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার, গোল্ডেনসন, জেমিনী সি ফুডস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, ইমাম বাটন, বিচ হ্যাচারি, মেঘনা পেট, তাল্লু স্পিনিং, জাহিন স্পিনিং, এটলাস বাংলাদেশ।

আরএন স্পিনিং, জিকিউ বলপেন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ও মেট্রো স্পিনিং। এসব কোম্পানির মধ্যে শ্যামপুর সুগারের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৬ দশমিক শূন্য চার টাকা। আগের বছর (দুই প্রান্তিক মিলে) এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪৫ টাকা। পরের অবস্থানে রয়েছে জিলবাংলা সুগার। দুই প্রান্তিক শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির প্রায় সমপরিমাণ লোকসান ছিল।

একইভাবে পাট খাতের কোম্পানির জুটস স্পিনার্সের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২১ টাকা ২৫ পয়সা। কোম্পানিটি এ সময়ে গত বছরও লোকসানে ছিল। অন্যদিকে একই সময়ে বিডি ল্যাম্পসের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে চার টাকা ২৩ পয়সা। যদি প্রতিষ্ঠানটির লোকসান আগের চেয়ে কমেছে। গত আর্থিক বছরের দুই প্রান্তিক মিলে লোকসান ছিল আট দশমিক শূন্য আট টাকা। বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগেরই আগের চেয়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে।