দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা কয়েক কার্যদিবস ধরে দরপতন হচ্ছে। তবে দরপতনে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত নয়। তবে এবারের দরপত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সাজানেো তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে কারন সাধারন বিনিয়োগকারীরা প্রায় সবাই ধৈর্য ধরে বসে আছেন এই অপেক্ষায় যে, যেকোনো মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল ছাড় হতে পারে আর সেটি হলে বাজার তরতর করে সামনে এগুবে।কিন্তু সেটি না হওয়ায় অধের্যশীল প্রতিষ্ঠানিকরা চাপ সৃষ্টির জন্য বাজার ফেলে দিচ্ছে। তবে এ অবস্থা খুব দ্রুতই কেটে যাবে এমনটাই আশাবাদ বাজার সংশ্লিষ্টদের।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পতন হয়েছে সবকটি মূল্য সূচকের। সূচকের এই পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক ও গ্রামীণফোন। শেয়ারবাজারের স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়া হয়।

নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো, যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। আর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ সাত শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই সুবিধা দেয়ার ফলে শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। ৪ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে নেমে যাওয়া ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসএক্স হু হু করে বেড়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ৪ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে চলে আসে। অর্থাৎ সাত কার্যদিবসে সূচকটি বাড়ে ৩৭৩ পয়েন্ট

তবে এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা চার কার্যদিবস দরপতন হয়েছে। এই চার কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ১৩৭ পয়েন্ট। এর মধ্যে মঙ্গলবার কমেছে ২৯ পয়েন্ট।

সূচকের এই পতনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম কমার ফলে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ারের দরপতনের কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৬ দশমিক ৯০ পয়েন্ট।

এছাড়া ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো ৬ দশমিক ৭১ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট, সামিট পাওয়ার ৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন ২ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট, সিটি ব্যাংক ১ দশমিক ২১ পয়েন্ট, অলেম্পিক ১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ১ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট এবং ব্যাংক এশিয়া দশমিক ৯৯ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।

এ হিসেবে দেখা যাচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সামিট পাওয়ার এই পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৩০ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ এই পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়লে অথবা অপরিবর্তিত থাকলেই আজ পতনের বদলে ঊর্ধ্বমুখীর খাতায় নাম লেখাত শেয়ারবাজার।