দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা বহুমূখী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সফল ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে বলে জানান বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। সোমবার (২ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ এর চেয়ারমান মোঃ ইউনুসু রহমান-এর নেতৃত্বে ২৪ ফেব্রয়ারী ডিএসই’র নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহনের পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারমান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত কারের সময় তিনি এসব কথা বলেন৷এর আগে তিনি ডিএসই’র নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদকে স্বাগত জানান।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ডিএসই’র নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের সাথে আছে পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পরিচালকবৃন্দ৷ মূলত স্টক এক্সচেঞ্জকে কেন্দ্র করেই পুঁজিবাজারের সমস্থ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়৷ স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনেক বেশী৷ স্বতন্ত্র পরিচালকদের কর্মকাণ্ডের উপরই নির্ভর করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সেই সাথে নির্ভর করে বাজারের গতিশীলতা৷ আমাদের সকলের উদ্দেশ্য পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া৷ এর জন্য বিএসইসি’র পক্ষ থেকে যে সহযোগীতা করার দরকার তা করা হবে৷

তিনি আরো বলেন, বিএসইসি বিগত কয়েক বছরে পুঁজিবাজার উন্নয়নে আইনগত ও অবকাঠামোগত বহুবিদ সংস্কার করেছে৷ এতে পুঁজিবাজারের ভিত অনেক মজবুত হয়েছে। যা ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক মোঃ হেলাল উদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা,এফসিএমএ, খোন্দকার কামালুজ্জামানসহ নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ৷

ডিএসই’র চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সেই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাবো৷ এ বিষয়ে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন৷

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বর্ষ পূর্ণ হবে৷ এই ৫০ বছরের মধ্যে গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি দৃশ্যমান৷ বাংলাদেশের ১৫ বছরের উন্নয়নকে খাত অনুযায়ী বিশ্লেষন করলে দুটি খাত, একটা সামাজিক খাত আর একটা অর্থনৈতিক খাত৷ সামাজিক খাতে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মা ও শিশুর যত্ন প্রভৃতি৷ আর অর্থনৈতিক খাতে চারটি ক্ষেত্র ব্যাংক, পুঁজিবাজার, ইন্সুরেন্স এবং মাইক্রো ক্রেডিট৷

সামাজিক ও আর্থিক খাতের সুচকে বাংলাদেশ অনেকাংশে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে আছে৷ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধনের পরিমান খুবই কম৷ বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধনের অনুপাত ১০০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে৷ এর জন্য প্রয়োজন ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন সিকিউরিটিজ৷ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের এই সম্ভাবনাময় খাতকে পুঁজি উত্তোলনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে পরিনত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৩০ এবং ২০৪১ সালকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টর যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের পুঁজিবাজারকেও সেভাবে এগিয়ে নিতে।

ডিএসই’র প্রতিনিধিদলে ছিলেন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান, সালমা নাসরিন, এনডিসি, মোঃ মুনতাকিম আশরাফ, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাসুদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোঃ শাকিল রিজভী, মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক এবং মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এফসিএস৷