দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা:  বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেছেন, পুঁজিবাজার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীসহ অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ ও কমিশনের পক্ষ থেকে যে সমস্ত সংস্কার করা হয়েছে সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি খুব শীঘ্রই পুঁজিবাজারে সুদিন আসবে। বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষা করতে পারেন পুঁজিবাজার সুদিন দেখার জন্য। তবে তবে আমাদের এসকল প্রত্যাশা এবং প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়ে যাবে যদি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার জায়গা নিশ্চিত না হয়।

আজ রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আর্থিক প্রতিবেদনের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাইনাসিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুস্তাক আহমেদ ।

তিনি বলেন, সরকারি লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো খুব শিগগিরই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। কিছু ভালো লাভজনক প্রতিষ্ঠান দ্রুত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি। এছাড়া আগামী ১ বছরের মধ্যে একটি সমৃদ্ধশালী পুঁজিবাজার দৃশ্যমান হবে। শীঘ্রই একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবকাঠামো তৈরিতে পুঁজিবাজার অব্যাহতভাবে অবদান রাখবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজারে অন্যতম সমস্যা হল আস্থার অভাব। আস্থার কারনে পুঁজিবাজার টালমাতাল অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া পুঁজিবাজার সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের মাঝে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তেমনি আস্থার সাথে সম্পৃক্ত ইকুইটি সাপ্লাই, ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা, ইন্টারেস্ট রেট, যেগুলোতে অনেকে ভুল বুঝেন। আপনারা জেনে রাখবেন, মানি মার্কেটে যদি ইন্টারেস্ট রেট কমে তাহলে ক্যাপিটাল মার্কেটে তারল্য সংকট বৃদ্ধি পায়। বাজারে যে ৩০টি লিস্টেড ব্যাংক এবং প্রায় ৫০টি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তাহলে তাদের প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়, যার ফলে সূচকের পতন ঘটে।

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে সংস্কারের ফলে এর সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.এম. খায়রুল হোসেন বলেছেন, সরকারের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ দিতে প্রস্তুত পুঁজিবাজার। সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কারের কারণেই পুঁজিবাজারে এ সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে অনেক সংস্কার হয়েছে। সংস্কাররে ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশের পুঁজিবাজার সম্ভবনাময়। এ বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অনেক বেশি। সরকারের বড় বড় প্রকল্পে অর্থের যোগান দিতে প্রস্তুত পুঁজিবাজার।