দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ২০ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ ১২ হাজার ৪২৭ কোটি ৭৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা জানুয়ারি মাসের তুলনায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। জানুয়ারিতে লেনদেন হয়েছিলো ৮ হাজার ৭২ কোটি ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৬১২ টাকা।

শুধু তাই নয়, দরপতনের বছরের গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। ফলে ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইতে মোট ১৩ হাজার ৭৭৯ কোটি ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৯০৪ টাকার লেনদেন হয়েছিলো। সে মাসে মোট ১৮ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো। কিন্তু তারপর অর্থাৎ ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট ১২টি মাসে কখনো লেনদেন ১০ হাজার কোটি টাকার ছাড়ায়নি।

এর মধ্যে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে লেনদেন হয়েছিলো ৯ হাজার ৩’শ কোটি টাকার বেশি। এপ্রিলে লেনদেন হয়েছিলো প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। মে মাসে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। জুনে লেনদেন হয়েছিলো সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও জুলাইয়ে প্রায় ৯ হাজার কোটি, আগস্টে ৭ হাজার ৩’শ কোটি, সেপ্টেম্বরে ৮ হাজার ৪’শ কোটি, অক্টোবরে ৭ হাজার কোটি, নভেম্বরে ৭ হাজার ৪’শ কোটি, ডিসেম্বরে ৬ হাজার ৭’শ কোটি এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৭২ কোটি টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহত দরপতন থেকে উত্তোলনে প্রধানমন্ত্রী ছয় ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি পুঁজি-বাজারে আস্থা তারল্য সংকট দূর করেত ১২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তাতে গত জানুয়ারি মাস থেকে লেনদেন বাড়তে থাকে। তার প্রভাবে লেনদেন খরা পুঁজি-বাজারে হঠাৎ করেই ৩’শ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন থেকে বেড়ে ১ হাজার কোটি টাকাও দৈনিক লেনদেন হয়েছে। আর তাতে বার মাস পর ডিএসইতে লেনদেন ১২ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে: বহুজাতিক ও সরকারি লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজি-বাজারে তালিকাভুক্ত করা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া এবং আইসিবির লেনদেনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।