দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ১০ কোম্পানির শেয়ারে দরপতনে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। করোনা ভাইরাস আতংকে সোমবার ব্যাপক পতনের পর মঙ্গল ও বুধবার দুই কার্যদিবস বড় উত্থান হয়েছে পুঁজিবাজারে। তবে ওই দুই কার্যদিবসেও সোমবারের ক্ষতি পূরণ হয়নি। সোমবারের ক্ষতি পূরণ না হতেই বৃহস্পতিবার আবার বড় পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতনের সেঞ্চুরি হাকিয়ে থেমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ ডিএসইতে ১০ কোম্পানির নেতৃত্বে সূচকের বড় পতন হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- গ্রামীণফোন, ইউনাইটেড পাওয়ার, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, ব্র্যাক ব্যাংক, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, আইসিবি, পাওয়ারগ্রীড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা ও সামিট পাওয়ার। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজ সূচক পতনের নেতৃত্ব দিয়েছে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর শেয়ারদর কমার কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট।

ডিএসইর সূচক কমার দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমার কারণে ডিএসইএক্স কমেছে ৭ দশমিক ২৫ পয়েন্ট। এরপর ডিএসইএক্স কমার নেতৃত্বে ছিল ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এরফলে ডিএসইএক্স কমেছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

এছাড়া, ব্র্যাক ব্যাংকের ৪ দশমিক ২০ শতাংশ দর কমার কারণে ডিএসইএক্স কমেছে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, লাফার্জ সুরমার ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ দর কমার কারণে ডিএসইএক্স কমেছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, আইসিবির ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ দর কমার কারণে ডিএসইএক্স কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, পাওয়ারগ্রীডের ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ দর কমার কারণে ডিএসইএক্স কমেছে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ন্যাশনাল লাইফের ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ দর কমার কারণে ডিএসইএক্স কমেছে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ,

স্কয়ার ফার্মার দশমিক ৯৪ শতাংশ দর কমার কারণে ডিএসইএক্স কমেছে ২দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং সামিট পাওয়ারের ২ দশমিক ১৬ শতাংশ দর কমার কারণে ডিএসইএক্স কমেছে ২ দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট। আলোচিত এই ১০ কোম্পানির কারণে ডিএসইএক্স কমেছে ৪৫ পয়েন্টেরও বেশি।