দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ তিন টাকা করে পাবেন। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে জানানো হয়।

লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ এপ্রিল। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ এপ্রিল।

সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে আট টাকা ৬৮ পয়সা এবং চলতি বছরের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৮৯ পয়সা।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২০১৯ সালে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮.৬৮ টাকা। এর বিপরীতে পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা এর আগের বছরে ২১.০১ টাকা ইপিএসের বিপরীতে ছিল ১৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। মূলত ওই বোনাস শেয়ারের কারনে ব্যাংকটির ২০১৯ সালে ইপিএস কমেছে।

কোম্পানিটির ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ৮.৬৮ টাকা হিসেবে মোট ৪৩৪ কোটি টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্য থেকে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা বা ৩০ শতাংশ হিসাবে মোট ১৫০ কোটি টাকা বা মুনাফার ৩৪.৫৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। আর বাকি ২৮৪ কোটি টাকা বা ৬৫.৪৪ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে মুনাফার ১ টাকাও লভ্যাংশ আকারে বিতরন করেনি ডাচ-বাংলা ব্যাংক। ওই বছরের ব্যবসায় অর্জিত ৪২০ কোটি ১৪ লাখ টাকা মুনাফার পুরোটাই রেখে দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো ও বাকি ১২০ কোটি ১৪ লাখ টাকা দিয়ে রিটেইন আর্নিংস বাড়ানো হয়েছিল। ৫০০কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ২ হাজার ১০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।