দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: স্থিতিশীল পুঁঁজিবাজার ও উন্নয়নের লক্ষে বুধবার থেকে শেয়ার ক্রয় শুরু করবে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার এ কথা সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন।

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এবং এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় আগারগাঁও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: আসাদুল ইসলাম।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ফজলে কবির, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের অব্যাহত দরপতন রুখতে বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলার জারি করে। দরপতন বন্ধ করতে মূলত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে তহবিল গঠনের উদ্যোগটি নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

পুঁজিবাজারের বিশেষ তহবিলের জন্য ১১টি ব্যাংকের গঠন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে আটটি ব্যাংক ফান্ড গঠন করেছে। এগুলো হলো- সোনালী, জনতা, রূপালী, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক, এসআইবিএল,ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক। বাকী তিনটি ব্যাংক চলতি সপ্তাহের মধ্যে ফান্ড গঠন করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলো হলো ঢাকা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া।

উল্লেখ, গত ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে লাগামহীন দরপতন (Free Fall) হলে ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে প্রতি ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠন করার সুযোগ দিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

কিন্তু এক মাসের বেশি সময় পার হওয়া সত্ত্বেও এই তহবিল গঠনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দেশের পুজিঁবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাতে বাজারে বেশ বড় দরপতন হয়। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করে আলোচিত তহবিল গঠনের বিষয়টি আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেন।