দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য তিন কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। তবে ঘোষিত ৩ কোম্পানির ডিভিডেন্ডে সন্তুষ্ট নন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীরা বলেন, ধসের পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলো আরো ভালো ডিভিডেন্ড দিকে পারতো । ভালো ডিভিডেন্ড দিলে লোকসান কাটানো সম্ভব ছিল। কোম্পানি ৩টা হলো: ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, বিজিআইসি, ডাচ-বাংলা ব্যাংক।

ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

তথ্যমতে, সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯৫ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২.০৬ (রিস্টেটেড ২০১৮) টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতিসম্পদমূল্য (এনএভি)দাঁড়িয়েছে ৩১.৮৭ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২.৩২ টাকা।

কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ এপ্রিল, সকাল ১০টায়, ঢাকা লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আগামী ১৩ এপ্রিল নির্ধারণ করাহয়েছে।

বিজিআইসি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের (বিজিআইসি) পর্ষদ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

তথ্যমতে, সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৮ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.০৪ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতিসম্পদমূল্য (এনএভি)দাঁড়িয়েছে১৮.৬৫ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৯৪ টাকা।

কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২২ এপ্রিল, সকাল সাড়ে ১১টায়, ঢাকা লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আগামী ১৩ এপ্রিল নির্ধারণ করাহয়েছে।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ তিন টাকা করে পাবেন। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে জানানো হয়।

লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ এপ্রিল। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ এপ্রিল।

সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে আট টাকা ৬৮ পয়সা এবং চলতি বছরের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৮৯ পয়সা।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২০১৯ সালে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮.৬৮ টাকা। এর বিপরীতে পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা এর আগের বছরে ২১.০১ টাকা ইপিএসের বিপরীতে ছিল ১৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। মূলত ওই বোনাস শেয়ারের কারনে ব্যাংকটির ২০১৯ সালে ইপিএস কমেছে।

কোম্পানিটির ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ৮.৬৮ টাকা হিসেবে মোট ৪৩৪ কোটি টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্য থেকে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা বা ৩০ শতাংশ হিসাবে মোট ১৫০ কোটি টাকা বা মুনাফার ৩৪.৫৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। আর বাকি ২৮৪ কোটি টাকা বা ৬৫.৪৪ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হবে।