এম এ সাঈদ চৌধুরী,  দেশ প্রতিক্ষণ, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাত আরা সোহেলীর অফিস কক্ষ ভাংচুর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২.৪৫ মিনিট হতে ৩.১৫ এর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. পারভীন আক্তার জেমী।

এ ব্যাপারে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. পারভীন আক্তার জেমী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এবং সহকারী অধ্যাপক জান্নাথ আরা সোহেলী রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দুজনের রুম সিলগালা করে দেয়া হয়।

লিখিত অভিযোগে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার জেমী বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) আনুমানিক ২.৪৫ মিনিট হতে ৩.১৫ মিনিট এর মধ্যে আমার অবর্তমানে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বিভাগের কাউকে কোন কিছু না বলে স্বেচ্ছাচারী হয়ে তার রুমের পশ্চিম পার্শের সহকারী অধ্যাপক জান্নাথ আরা সোহেলীর কক্ষের তালাটি ভাঙ্গেন।

উক্ত কক্ষের তালা ভেঙ্গে সমস্ত মালামালা বাইওে ফেলে রাখেন। তিনি জান্নাত আরা সোহেলীকে বা বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মালামাাল সরানোর বিষয়ে অবগত করেননি কিংবা কাউকে না বলে নিজের ইচ্ছায় বিনা অনুমতিতে মালামাল উম্মুক্ত করিডোরে ফেলে রাখেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের পরিপন্থী বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে জান্নাথ আরা সোহেলী অবগত নয়।

এছাড়াও দুইদিন পূর্বে বিভাগে উক্ত ব্লকের যৌথ ব্যবহৃত তালাটি ব্যবহার না করে তিনি নিজের একটি তালা ব্যবহার করছেন অফিসকে আবগত না করে। এম.এল.এস.এসকে বলেন যে, ‘আমি ব্লকটি দখল করলাম এবং নতুন তালা লাগালাম।’ ঘটনাটি শোনার পর অফিস প্রধান মনির আহাম্মদ ভূইয়া, অফিস সহকারী জামাল হোসাইন, এম.এল.এল.এস মোঃ নূরুল ইসলাম ও মোঃ বারেক হাওলাদার সেলিম ব্যক্তিগত অনুরোধ করে চাবি দেয়ার জন্য।

কারণ ঐ ব্লকে জান্নাত আরা সোহেলীর রুম এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কমন ওয়াসরুম। ফলে বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, উক্ত ওয়াসরুমটি করতে পারছে না। কক্ষটি নিজে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করার জন্য দখল করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তবে এ অভিযোগ অস্বিকার করে মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘আমি তার রুম দখল করবো কেন? তার রুম তো এমনিতেই দুবছর যাবৎ খালি পড়ে আছে। আমার রুমের পাশে তো আমি দেখেছি তালাও দেয়া নেই। বিভাগে দুইটা গ্রুপ আছে তো তারা হয়তো এ কাজ করে আমার নাম দিচ্ছে।’

সহকারী অধ্যাপক জান্নাথ আরা সোহেলী বলেন, আমি শিক্ষা ছুটিতে আছি। কয়েকদিন পরই আমার ছুটি শেষ হবে। আমি ছুটিতে থাকলেও বিভাগে আমার যাওয়া আসা হয় বিভাগের অনেক কাজে। আমার ব্যক্তিগত অনেক জরুরী কাগজপত্র রয়েছে রুমের ভিতর। উনার (মিল্টন বিশ্বাস) যদি রুম লাগতো আমাকে বলতো বা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে চাইতো।

এটা না করে উনি কাউকে কিছু না বলে লোকজন এনে রুম ভাংচুর করে রুম দখল করবে কেন। আমি এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।