দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তহবিলের অর্থ দ্বারা কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে। বুধবার সন্ধ্যায় করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিষয়সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ৬ মাসের খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রধানের ঘোষনা ও পোশাক রপ্তানি খাতে ৫০০০ হাজার কোটি টাকা সহযোগিতার ঘোষনা যুগান্তকারী বলে বললেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এস এম নাসির উদ্দিন।

তিনি পুঁজিবাজারে চরম ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ঘোষনা দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিকট জোর অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া দুর্যোগের সময় যারা অসৎ সুবিধা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ও দাবী জানিয়েছেন। পাশপাশি ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।

তেমনি সবাই কে সামাজিক দূরত্ব বজায় চলার জন্য ও নিজ নিজ সন্তান, পরিবারের ও প্রতিবেশীর খেয়াল রাখার অনুরোধ করছেন। দেশের সকল জনগণ আল্লাহর রহমতে নিকট ভবিষ্যতে অধিক পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সময়ের সমস্ত ক্ষতি কাটিয়ে উঠার সংকল্প করেন। ইনশাল্লাহ আমরা জয়ী হব। আল্লাহ আমাদের সহায় হবে।

উল্লেখ্য, পতনে পতনে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। বলা যায়, অর্থনীতির অন্যতম এ অঙ্গটি নীরবেই তলিয়ে যাচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চলছে পুঁজি হারানোর হাহাকার। অর্থনীতির উত্থানের মধ্যে যেখানে সামনে এগোনোর কথা, উল্টো সূচক ফিরে গেছে প্রায় সাত বছর আগের অবস্থানে। তবে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাজারের পতন বন্ধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা নতুন একটি ফরমুলা জারি করেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেওয়া উদ্যোগ ইতোমধ্যে কাজ করতে শুরু করেছে। নতুন ফরমুলা অনুযায়ী, এখন থেকে শেয়ারের দাম নির্দিষ্ট একটি সীমার নিচে নামতে পারবে না। এ কারণে সূচকও নির্ধারিত একটি সীমার নিচে নামার পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

তবে গুজব আর করোনা ভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত এই পুঁজিবাজারকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ বড় ভূমিকা রেখেছে।’ ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী যে ফরমুলা দিয়েছেন, তাতে এই পুঁজিবাজার আর আগের মতো পড়বে না। তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্ত তৃতীয় বিশ্বের শেয়ার বাজারের ইতিহাসে উদাহরণ হয়ে থাকবে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সুত্র: ফেসবুক থেকে