দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৩ জন। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ জন। ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এটাই প্রথম সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত করা হলো। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৭ জন।

সোমবার (৬ এপিল) মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) এর অডিটোরিয়ামে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে তার বিস্তার বৃদ্ধি করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ২৯ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং ৪ জন মারা গেছেন। সুতরাং আগামী ১০-১৫ দিন আমাদের সবার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই আগামী ১৫ দিন আমরা যেন কেউই অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হই। আর একান্তই যদি জরুরি কাজে বের হতেই হয় তাহলে মুখে মাস্ক ব্যবহার না করে কেউই ঘরের বাইরে বের না হই সে ব্যাপারে আমাদের সবারই সচেতন থাকতে হবে।’

বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীর জানান, দেশে সামনে কঠিন সময় আসছে। এখনই পুরো দেশে লকডাউন করা জরুরি। এখনই পুরো দেশ লকডাউন না করা হলে এই ভাইরাস আগামী ১০ দিনে ভয়াবহ রূপ নেবে।

বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বচিপ সভাপতি ইকবাল আর্সলানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস ভবনের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।