দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল : ত্রাণ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে বরিশাল বিভাগের তিন জেলার ৫ জন জনপ্রতিনিধিকে বহিস্কার করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ আজ এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই বিভাগে বরখাস্তকৃতরা হলেন, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নূরে আলম বেপারী, ভোলা জেলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান খান,

পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মনির রহমান মৃধা। আর বহিস্কৃত ইউপি সদস্যরা হলেন, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা ইউপি’র ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মহিউদ্দিন সোহেল এবং একই উপজেলার কেশবপুর ইউপি’র সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছাঃ লিপি বেগম।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটের সময় তাদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাৎ, জাটকা নিধনে বিরত থাকা জেলেদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাৎ ও কালোবাজারে বিক্রি, সরকারি ত্রাণের চাল ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত চাল নির্ধারিত পরিমাণে প্রদান না করা ও বিধিবহির্ভূতভাবে অন্যদের মাঝে বিতরণ ইত্যাদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ মূলক কার্যক্রম জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।একইসময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন এবং এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়।