দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে সারা বিশ্বের পুঁজিবাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারেও। যদিও গত কয়েক বছর ধরেই দেশের পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এর ধারাবাহিকতায় বিদায়ী বছরে ব্যাংক খাতের তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানিগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে গিয়েছিল। তবে ব্যাংক খাতের শেয়ারের দর বর্তমানে যে অবস্থায় এসেছে তাতে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত খাত।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ পুঁজিবাজার উন্নয়নের স্বাভাবিক গতি বাড়াতে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এ খাতের শেয়ার এখনো কিছুটা বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত। পাশাপাশি রয়েছে বিনিয়োগে সর্বোচ্চ আস্থাভাজন। তাই পুঁজিবাজারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম।

তারা আরো জানান, ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন এবং শেয়ার সংখ্যা বেশি। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত এ খাতকে বিনিয়োগ প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। আবার কোম্পানিগুলোর লেনদেন ও দর ওঠানামা অনেকটাই স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। অন্যান্য কোম্পানির মতো ঢালাওভাবে এ খাতের শেয়ার দর উত্থান-পতন হয় না।

একটি প্রতিষ্ঠানের মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বিবেচনা করে কোম্পানিটির শেয়ার দরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। তাঁদের মতে, যে কোম্পানির পিই রেশিও যত বেশি, সে কোম্পানি তত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। যদি পিই রেশিও নেগেটিভ হয় তবে এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়। কিন্তু যে সকল কোম্পানির পিই রেশিও মার্কেট পিই রেশিওর তুলনায় কম, সেসকল কোম্পানিতে বিনিয়োগ উত্তম।। আর পিই ২৫ এর নিচে থাকা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ খুবই উত্তম বলে মনে করা হয়।

এদিকে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে তিন কারনে ব্যাংক খাতের শেয়ারের প্রতি ঝোঁক রয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো ভালো ডিভিডেন্ডের প্রভাবে একটু বাড়তি আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা এমনই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের প্রতিবেদকের কাছে।

অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর তুলনামূলক অনেক কম। সেই তুলনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক অবস্থা এবং লভ্যাংশ প্রদানের হারও সন্তোষজনক। অন্যদিকে  প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ব্যাংক খাত। সেদিক বিবেচনায় ব্যাংক খাতে বিনিয়োগ নিরাপদ। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘ মন্দা পরিস্থিতি বিরাজের পর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়াকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে বলে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে হিসাবে ৫৯টি তফসিলি ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিদ্যমান বিনিয়োগের বাইরেও আরো সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাজারের ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৩০টি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংক খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। ডিএসইতে এ খাতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১৮টিতে বা ৬০ শতাংশ, বিনিয়োগ কমেছে ১০টিতে বা ৩৩ শতাংশ এবং বিনিয়োগ স্থিতিশীল রয়েছে ২টিতে বা ৭ শতাংশ। সে হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়েছে।

এর আগে জানুয়ারি মাসে পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছিল ১৩টি ব্যাংকে, কমেছে ১৩টি ব্যাংকে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি ব্যাংকে। জানুয়া‌রিতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেনি ২টি ব্যাংক। সে হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ স্থিতিশীল ছিল।

তবে করোনার প্রভাবে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন ঠেকাতে গত ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও ইউনিট দরের সার্কিট ব্রেকারের ফ্লোর প্রাইসের (যে দরের নিচে নামতে পারবে না) সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেওয়া পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বিনিয়োগকারী সব সময় ভালো শেয়ারের সঙ্গে থাকতে চান। সার্বিক বিবেচনায় এখনও অধিকাংশ ব্যাংক শেয়ারে বিনিয়োগের অনুকুল পরিবেশ বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক দরপতনে ব্যাংক শেয়ারের দর কমে গেছে। পাশাপাশি শেয়ারের দাম অনুপাতে ব্যাংকগুলো ভালো ডিভিডেন্ড দিচ্ছে। এটা একটা ভাল দিক বলে মনে করেন।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক মন্দা পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়াটা ইতিবাচক। ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিল গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হয়েছেন।’

ডিএসই’র ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের হালনাগাদ তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো: প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংকগুলো: এবি ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩৪.১৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪.২৪ শতাংশে।

ব্যাংক এশিয়াতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১৬ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩৩.৪৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৬৪ শতাংশে। ব্র্যাক ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩৫ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৬.৫১ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৮৬ শতাংশে।

সিটি ব্যাংকে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৫ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ২০.৫৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.৬৪ শতাংশে। ঢাকা ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১২ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১২.৯৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.০৫ শতাংশে।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৭০ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২.২৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৯৯ শতাংশে। ইস্টার্ন ব্যাংকে (ইবিএল) প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০১ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৪.৪৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.৫০ শতাংশে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১২ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৫.৯২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.০৩ শতাংশে। আইএফআইসি ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৪০ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.৩৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৭৩ শতাংশে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৮ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.১২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.২০ শতাংশে।

প্রিমিয়ার ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩৫ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১০.৭৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.১৪ শতাংশে।

প্রাইম ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০১ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৭.০১ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.০২ শতাংশে।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৯ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.৪৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৫২ শতাংশে।

এসআইবিএল ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ২.১০ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৫৯.১৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১.২৩ শতাংশে।

সাউথইস্ট ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১৬ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩৩.০৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.২০ শতাংশে।

ট্রাস্ট ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৪ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.১৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.১৯ শতাংশে।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১৮ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৮.৯৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.১৩ শতাংশে।

উত্তরা ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.১২ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৯.৫০ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.৬২ শতাংশে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে যাওয়া ব্যাংকগুলো: আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠনিক বিনিয়োগ কমেছে ১.১৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২১.১৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৭ শতাংশে।

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকে (এক্সিম) প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ২০.০৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৩.৫৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে।

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.০৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ২২.৩৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ২২.৩৩ শতাংশে।

যমুনা ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.২৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪.৫৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৩২ শতাংশে।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে (এমটিবি) প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.২০ শতাংশ। জানুয়ারিতে ব্যাংকটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২১.৩৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ২১.১৮ শতাংশে।

ন্যাশনাল ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.০৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২০.৬৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৫৯ শতাংশে।

ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (এনসিসি) প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.৩০ শতাংশ। জানুয়ারিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৯.১৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৮৮ শতাংশে।

ওয়ান ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.২৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৬.৬৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ১৬.৩৯ শতাংশে।

পূবালী ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.১০ শতাংশ। জানুয়ারিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৬.৮৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ২৬.৭৮ শতাংশে।

রূপালী ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ০.০২ শতাংশ। জানুয়ারিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪.৪৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৪৭ শতাংশে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ স্থিতিশীল থাকা ব্যাংকগুলো: এ বছরের জানুয়ারির মতোই ফেব্রুয়ারিতে ইসলামী ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১২.১৯ শতাংশ। আর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দাড়িয়েছে ২১.৯৬ শতাংশ।