দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ থাকা নিয়ে নানা মহলে চলছে তর্ক বিতর্ক। তবে ডিএসইর একজন পরিচালক বলছেন, সরকারি এই ছুটিতে লেনদনে চালুর সুযোগ নেই। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান সরকারি প্রণোদনা। এতো বছর পরও শেয়ার লেনদেন প্রক্রিয়া পরোপুরি অটোমেশনে নিয়ে যেতে না পারাকে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা বলে মনে করেন বিশ্লেষক।

করোনা মোকাবিলায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় এই ছুটির মেয়াদ দুই দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এতে দেশের অন্যান্য খাতের মতো পুঁজিবাজারও বন্ধ রয়েছে। এরফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে এই খাত। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরসকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেছেন পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন অনেক বিনিয়োগকারী আছেন, যাদের আয়ের পুরোটাই শেয়ারবাজার নির্ভর। এই বাজার বন্ধ থাকায় তাদের আয় রোজগার বন্ধ রয়েছে। অনেকেই অর্থ কষ্টে পড়েছেন। করোনার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হলে তারা আরও সংকটে পড়বেন। বিএসইসি’র ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০১০ সালে দ্বিতীয় দফায় পুঁজিবাজারে ধসের পর বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আসেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও মার্চেন্ট ব্যাংক মিলিয়ে মোট ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৩ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী।

দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ প্রায় একমাস। সরকারি ছুটির সাথে মিল রেখে মার্চের ২৫ তারিখ থেকে বন্ধ দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই। লেনদেন বন্ধ থাকা নিয়ে নানা মহলে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। এ অবস্থায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চান, সরকারি প্রণোদনা।

ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন জানান, সরকারি ছুটিতে বাজার চালু রাখার সুযোগ নেই। তবে ক্ষতি পোষাতে স্বল্প সুদে ঋণ চান তারা।  এতদিনেও স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি অটোমেশন পদ্ধতিতে যেতে না পারাকে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা মনে করছেন বাজার বিশ্লেষক মোহাম্মদ মোহসিন। বন্ধের আগে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা ছিল। তাই ফের চালুর পর সেটি নিয়েও আছে শঙ্কা।

এ বিষয় জানতে চাইলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘দেশের শেয়ারবাজারে বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। যার ফলে শেয়ারগুলোর দাম পড়ে গেছে। এতে অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ মুহূর্তে শেয়ারবাজার বন্ধ। ফলে তাদের আয় রোজগারে নেতিবাচক প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক।’ এ বিষয়ে সরকারের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বলেও তিনি মনে করেন।