দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা:  ভারতজুড়ে লকডাউন চলছে। গত ২৫ মার্চ থেকেই দেশব্যাপী লকডাউন জারি রয়েছে। আগামী রোববার এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই লকডাউন তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। খবর সিএনএন। লকডাউন চলাকালীন দেশজুড়ে সব রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গণপরিবহন চলাচলেও ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে শুধুমাত্র জরুরি জিনিসপত্র যেমন খাবার ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম বহনকারী পরিবহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল।

তবে লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক। তাদের কোনো কাজ নেই, এমনকি শহরে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা বাড়িও ফিরে যেতে পারছেন না। ফলে এক অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের। এদিকে, বুধবার এক নোটিশ জারির মাধ্যমে লকডাউনে আটকে পড়া লোকজনকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ফলে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া লোকজন নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পারবেন। যেসব অভিবাসী শ্রমিকদের দেহে করোনার কোনো ধরনের উপসর্গ নেই তারা, শিক্ষার্থীরা, তীর্থযাত্রীরা এবং পর্যটকরা যার যার রাজ্যে ফিরে যেতে পারবেন। বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া অভিবাসী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে সরকারকে দ্রুত সাড়া দিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট থেকে আদেশ দেওয়ার পরেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

তবে এক্ষেত্রে সবাইকে দু’বার স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তারা এখন যেখানে অবস্থান করছেন সেখানে একবার এবং তারা যখন নিজেদের রাজ্যে ফিরবেন সেখানে আরও একবার তাদের স্ক্রিনিং করা হবে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিম বঙ্গ বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিবাসী শ্রমিককে ফিরিয়ে নিতে যানবাহনের ব্যবস্থা করছে।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলছেন, এর মানে এই নয় যে, সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের নতুন বিধি-নিষেধ রোববার থেকে কার্যকর হবে। তবে অনেক রাজ্যেই নিয়ম-কানুনে যথেষ্ট শিথিলতা আনা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন তুলে নিচ্ছে। তবে রাজ্য সরকার চাইলে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই পাঞ্জাবে লকডাউন আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০ এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ৭৪ জন।