দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে নেইমারকে দলে ভিড়িয়েছিল প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। দলবদলের বিশ্বরেকর্ড গড়ে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে দলে নেওয়ার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল- চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। ট্রফি তো দূরে থাক, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে ক্লাবটি পায়ইনি নেইমারকে!

২০১৭ সালে দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই চোট কিংবা নিষেধাজ্ঞায় তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে। ইউরোর ঝনঝনানিতে পার্ক ডু প্রিন্সেসে এলেও প্রত্যাশার দাবি মোটেও পূরণ করতে পারেনননি নেইমার। পিএসজির ক্ষেত্রে বলতে হবে, এখন পর্যন্ত তাদের মিশন পুরোটাই ব্যর্থ।

ব্রাজিলিয়ান তারকা মৌসুমের বেশিরভাগ সময় মাঠের বাইরেই থাকেন, যে ম্যাচগুলোতে তার ওপর নির্ভর করবে দল সবচেয়ে বেশি, সেই সব ম্যাচে তিনি খেলতেই পারেন না। ২০১৭ সালে তিনি যোগ দেওয়ার পর প্যারিসের ক্লাবের খেলা ১১৫ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মাত্র ৮০টিতে।

পরিসংখ্যান বলছে, পিএসজির মোট ম্যাচের ৫১ শতাংশ খেলায় মাঠে ছিলেন তিনি। আর মৌসুম প্রতি গড় ম্যাচ ২৬টি। বার্সেলোনা থেকে আনতে খরচ হওয়া ২২২ মিলিয়ন ইউরো বিবেচনায় নিলে মৌসুম প্রতি তার পেছনে প্যারিসের ক্লাবটির খরচ ৩৭ মিলিয়ন ইউরো।

সেই হিসাবে প্রত্যেক ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পেছনে পিএসজির খরচ ১৪ লাখ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তার খেলা ৮০ ম্যাচ হিসাব করলে নেইমারকে দিতে হয়েছে ১১১ মিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ২৩ কোটি টাকা।

এত অর্থ ব্যয়, অথচ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই নেই নেইমার! পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি মিস করছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে বড় ম্যাচ। ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়ে নেইমার খেলতে পারেননি ১০০ দিন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে পিএসজির ৫৬ ম্যাচের মধ্যে খেলেছিলেন মাত্র ৩০টিতে। পরের মৌসুমে মিস করেন ম্যানইউয়ের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ এবং মাঠের বাইরে থাকেন ৮৮ দিন। খেলেন ৫৫ ম্যাচের ২৮টিতে।

২০১৯ সালের জুনে অ্যাঙ্কেল ভেঙে আরেক দফা লম্বা সময় থাকেন মাঠের বাইরে। যে কারণে ২০১৯-২০ মৌসুমের শুরুতে খেলতে পারেননি। ফিরে এলেও অক্টোবরে আরেকবার চোটে পড়েন। চলতি মৌসুমে পিএসজির ৪৪ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মাত্র ২২টিতে।