দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারের পর তাকে রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যায় মিনহাজ মান্নান ইমনকে রমনা থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব-৩। ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে রমনা থানায়। সেই মামলার তিনি আসামি। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই মামলায় মোট ১১ জনকে আসামির মধ্যে জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, সুইডেনে থাকা সাংবাদিক তাসনিম খলিলও রয়েছেন।

তিনি জানান, একই সময় দিদারুল ভুইয়া নামে আরও একজনকে র‌্যাব হস্তান্তর করেছে। দিদারুল রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক। এর আগে মঙ্গলবার কার্টুনিস্ট কিশোরকে কাকরাইল ও লেখক মুশতাককে লালমাটিয়ার বাসা থেকে আটক করে র‌্যাবের একটি দল। এরপর তাদের রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কার্টুনিস্ট কিশোর তার ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার পোস্ট করতেন। আর মুশতাক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিশোরের সেসব পোস্টের কয়েকটি শেয়ার করেছিলেন।

মামলার কিশোর ও মুশতাককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- দিদারুল ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নান, আসিফ মহিউদ্দিন, তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেইসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ফেইসবুকে “I am Bangladeshi” পেইজে সম্পৃক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিশোর, মুশতাক, দিদারুলকে, যে পেইজ থেকে রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল বলে র‌্যাবের দাবি। হোয়াটস অ্যাপ ও ফেইসবুক মেসেঞ্জারে কিশোর ও মুশতাকের সঙ্গে তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের “ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ” পাওয়ার দাবিও করেছে র‌্যাব।

দিদারুল ও মিনহাজ ফেইসবুকে মুশতাকের “ফ্রেন্ড” উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, “তাদের সাথে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেইসবুক মেসেঞ্জারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।