দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান-এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বরিশাল মহানগর আ’লীগ সাধারন সম্পাদক ও বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি শোক জানান।

বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ শোক বার্তায় বলা হয়, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যার ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। দেশে গুণগত শিক্ষার প্রসার ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে তিনি অনবদ্য ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর মতো একজন গুণী শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে জাতির যে ক্ষতি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল আনিস স্যারের গৌরবময় ভূমিকা। মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। আনিস স্যার ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক শিক্ষকেরও শিক্ষক। আনিস স্যারের মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবককে হারালাম।’

খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান-এর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। সেই সাথে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। এর আগে বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার সম্মলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। মৃ্ত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত এই শিক্ষাবিদ ও লেখক ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলে থাকাবস্থাতেই ঢাকায় সপরিবারে চলে আসেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এই বিশিষ্ট লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে তার কর্মজীবন শেষ করে অবসর জীবনযাপন করছিলেন।

তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ড. কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০১২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।