দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে বরিশাল উপকূলে আঘাত হানতে পারে। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বরিশাল বিভাগের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রত্যন্ত এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করছে বলে জানিয়েছেন সিপিপি’র বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ।

তিনি জানান, একই সাথে প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ২টি করে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সিপিপি ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জনগণকে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক এবং সচেতন করতে বলা হচ্ছে।

এদিকে বরিশাল জেলায় ৩১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড় দুর্গত মানুষকে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।

জেলা প্রশাসক জানান, এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ঝড়ের সময় বিদ্যুত না থাকলে বিকল্প আলোর ব্যবস্থা, বাথরুম-টয়লেট ব্যবহার উপযোগী করা এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাঠে থাকা পাকা বোরো ধান ঝড় শুরুর আগেই কেটে ঘরে তোলার জন্য কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগকে পশুসম্পদ রক্ষায় বিশেষ খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরো জানান, ঝড় পরবর্তী সময়ে উদ্ধার তৎপরতার জন্য ফায়ার সার্ভিস, সড়ক বিভাগ, এলজিইডি, বিদ্যুত বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুত বিভাগকে প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও শিশুদের জন্য শিশু খাদ্যের ব্যবস্থাসহ প্রচুর ত্রাণ মজুদ রয়েছে।