আহসান আমীন: সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। আলোকিত জীবনধারার একজন আলোকিত মানুষ। প্রথমতঃ তিনি ছিলেন একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, রাজনীতিক। সাদিক আবদুল্লাহ প্রায় ২ বছর ধরে নগরবাসীর সেবা করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি হয়েছেন বরিশাল মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক। শৈশব কাটিয়ে যৌবনে কুড়িয়েছেন অনেক যশ খ্যাতি। নিজে যেটুকু অর্জন করেছেন তার সমপরিমাণ বাড়িয়েছেন দেশ মাতৃকার সম্মান। সফল মানুষ হিসেবে নিজের আত্মতৃপ্তির ঝুড়ি কানায় কানায় পূর্ণ করেছেন তিনি।

বরিশাল মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদকের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং সিটি কর্পোরেশনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। ফলে কর্পোরশণের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনকে করেছেন দূর্নীতিমুক্ত। করোনা দূর্যোগে ত্রাণ দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন আলোচনার শীর্ষে। তার চেয়েও বেশী প্রশংসিত হচ্ছেন তার ত্রাণ বিতরন কার্যক্রমের ব্যতিক্রমতায়। এতসব ব্যস্তততার মাঝে বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশনের অনিয়ম ধরতে অথবা স্বচক্ষে দেখতে এই নেতা গভীর রাতে এই শহরে ঘোরেন, কখনও একা বা কিছু সঙ্গীসমেত।

এবার আসি আলোচনার মূল প্রাসঙ্গিকতায়। উপরের অংশটুকু ব্যক্তি সাদিক আবদুল্লাহ মেধা, প্রজ্ঞার অর্জন। আলোচনার অংশটুকু তাঁকে ধাপেধাপে এগিয়ে যেতে সাহায্য করার অনুষঙ্গ। পুরো বিশ্বকেই স্থবির করে দিয়েছে মহামারী করোনা ভাইরাস। কর্ম থামিয়ে দিয়েছে, অর্থনীতির চাকা বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ করতে পারেনি মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা।

দায়িত্ববোধকে ভুলাতে পারেনি এই করোনা ভাইরাস। যদি মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার কমতি ঘটাতে পারতো মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধের জায়গাটি ম্লান করে দিতে পারতো তাহলে সাদিক আবদুল্লাহ মানুষের বাড়ী গিয়ে অথবা বা ফোন করে নগরবাসীর সু:খ দু:খ তার রাজনীতিক কর্মী-সমর্থক, বন্ধু বান্ধবদের খবর নিতেন না।

সাদিক আবদুল্লাহ তার পরিচিত ছোট বড় সবাইকেই ফোন করছেন। করোনা সতর্কতার বার্তা দিয়ে সবার পারিবারিক খোজ খবর নিয়েছেন। সবার সুস্থতা কামনা করে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে করোনা জয়ে সবাইকে ঘরে থাকার আহবান করে যাচ্ছেন। সবার উদ্দেশ্যেই তাঁর একটিই বার্তা- “বেঁচে থাকলে দেখা হবে, আপনি সুস্থ থাকুন, পরিবারকে সুস্থ রাখতে কার্যকরী সব ভূমিকা পালন করুন। ঈদ শুভেচ্ছা নিবেন, আমার সুস্থতায় দোয়া করবেন। আমি নগরবাসী পাশে আছি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে, আপনার যেকোন প্রয়োজনে এই হাতটি ধরুন”।

সাদিক আবদুল্লাহ এহেন মনোমুগ্ধকর আচরণে আমাদের জবাব, প্রিয় সাদিক ভাই ! আপনার এই আচরণে ফিরতি ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাই না। আপনি এমনই তা বহু আগে থেকেই আমরা জানি। আপনি মানুষকে এতো গভীর ভাবে ভালোবাসেন বলেই মানুষ আপনাকেও সমপরিমাণ ভালোবাসে। মানুষ তার কর্মের ফল পায়, আপনিও পাচ্ছেন।

রাষ্ট্র আপনাকে ভালোবেসে আপনার মেধা প্রজ্ঞার মূল্যায়ন করে যাচ্ছে। আপনার হাত আমাদের উপর অতীতের মতো ভবিষ্যতেও থাকবে এ নতুন কিছু নয়। আপনি বরিশালে শেখ হাসিনার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার এটি আবারও প্রমাণ করলেন। মানবিক সব কর্মকাণ্ডে আপনি সামনের সারিতে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটি আপনার জীবনে বহুবার প্রমাণ করেছেন।

গত ঈদে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের নাড়ির টানে ফেরা ঘড়মুখো মানুষের পাশে গভীর রাতে পাশে এসে দাড়িয়েছে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ঘরমুখো মানুষদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। পাশাপাশি অসুস্থ্য রোগীদের বিশেষ সার্ভিসের মাধ্যমে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর এসকল কাজের তদারকি করছেন মেয়র নিজেই।

চমকের সাথে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নাম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। সোজা সাপ্টায় বলতে গেলে সাদিক আবদুল্লাহ আর চমক যেন একে অন্যের পরিপূরক হয়ে গেছে। সর্বশেষ বরিশালের ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকে যোগদান করে তিনি যে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর অনুরোধে সাড়া দিয়ে এ বছরের ঈদের মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এর আগে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।

সেরনিয়াবাত সাদিক আদুল্লাহ রাজনীতির মাঠে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন প্রায় ১ যুগের মতো। তাঁর এসময়ে চল পথ অতো মসৃন। অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার মাধ্যমে তাঁকে এ অবস্থানে আসতে হয়েছে। তবে তাঁর চলার পথ যেমন মসৃন ছিলনা তিনি যে কাজে হাত দিয়েছেন সে কাজে সফল হয়েছেন।

মহামারী করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলায় বরিশাল নগরীর প্রায় ৫০ হাজার কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাসায় খাবার পৌছে দিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠির সেবক হিসেবে কাজ করে গরীবের মেয়র হিসেবে চিহিৃত হয়েছেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। যতদিন করোনা ভাইরাসের তান্ডব থাকবে ততদিন কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাসায় খাবার পৌছে দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

তারুন্যের অহংকার যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এই মহামারিতে জনগনের সেবা করে গরীবের মেয়র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন নগরীর সিংহভাগ খেটে খাওয়া মানুষ। কেবল খাদ্য সহায়তাই নয়, মেয়র তার নিজের বিসিসির সম্মানির প্রায় সাড়ে ৩৫ লাখ টাকা নগরবাসীর জন্য গঠিত ত্রান তহবিলে জমা দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে আস্থার স্থলে পরিনত হয়েছেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।

বরিশালের নগরপিতা ও মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল আ’লীগ নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা। তেমনি সাদিক আবদুল্লাহ শুধু একজন নেতা নয়, তিনি সত্যিকার অর্থে একজন চেইঞ্জ মেকার। একটি দেশের সার্বিক ও সুষম উন্নয়ন তখনই ঘটে যখন দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের উন্নয়নে উদ্ভাবনী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।

স্থানীয় সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সেই কাজ সঠিকভাবে করতে সক্ষম হয়েছে বলে আমরা মনে করি। কারন তিনি নগরপিতা হওয়ার পর বরিশালের চেহারা যেমনি পরিবর্তন ঘটছে, তেমনি সিটি কর্পোরেশনে অনেক চেহারা পাল্টে গেছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সাদিক আবদুল্লাহ ‘‘আমরাই গরবো আগামীর বরিশাল” স্লোগানে বরিশালবাসীর হৃদয়ে স্বপ্নের জাল বুনে যেন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন তা বরিশাল বাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। সাদিক আবদুল্লাহ জানান, সিটি কর্পোরশেন হলো বরিশাল বাসীর ঠিকানা আর আমি হলাম ঐ প্রতিষ্ঠানের সেবক। সুতারাং সেবা দেয়া আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সাদিক আবদুল্লাহ অন্য সকল সিটির মেয়র প্রার্থীদের থেকে আলাদা।

কারন তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের যেমন সুখে দু:খে পাশে থাকেন। তেমনি সিটি জনগনের সব সময় পাশে থাকেন। তার বক্তব্য সিটি বাসীর জন্য আমার দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা। নগরবাসীর যে কোন বিপদ আপদে আমি পাশে আছি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সকাল-সন্ধ্যা কাটে সাধারণ মানুষকে নিয়ে।

সাদিক মনে করেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার দাদা, বাবা সবাই বরিশালের মাটিতে রাজনীতি করেছে। আমিও তাদের বাইরে নই। আমি কোন কুট রাজনীতি বুঝি না। ওই রাজনীতি করতেও চাই না। দেশ ও বরিশালের উন্নয়নের জন্য কোন কাজই আমি ভয় পাই না। আমি জনগনের মাঝেই থাকতে চাই। জনগনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়েই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের ভালোবাসাকে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন মেনে নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই বড় সিটির মানুষের কল্যাণে, দলের কল্যাণে।

সাদিক আবদুল্লাহ’র বাবা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী রাজনীতির কর্ণধার। শুধু আওয়ামী লীগের কর্ণধার বললে কিছুটা ভুল হবে। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক। সকল দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা ভরে দেখেন তাকে। তার বাবা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছিলেন গরীব মেহনতি মানুষের নেতা। আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

সেই দায়িত্ব পালনের জায়গা থেকেই আপনার জন্যে আমাদের চাওয়া-আল্লাহ যেন আপনার পরিবার তার রহমতের চাদরে ঢেকে রাখেন। সব সময় সব অবস্থায়ই মানুষের সেবা করার তৌফিক দেন। আমীন।  লেখক, আহসান আমীন , প্রচার সম্পাদক, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগ।