দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের ৬ মাসের মার্জিন (প্রান্তিক) ঋণের সুদ মওকুফের দাবি জানিয়েছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচঞ্জ (ডিএসই)। সম্প্রতি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক চিঠি দিয়ে এ দাবি জানান।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে শেয়ারবাজারে কোনো লেনদেন হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে দেয়া মার্জিন ঋণের সুদ গণনা ছয় মাস স্থগিত রাখা প্রয়োজন।’

মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফের পাশাপাশি চিঠিতে আরও চারটি দাবি করা হয়েছে। এর একটি হলো- ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডিএসইর ট্রেকহোল্ডারদের শেষ ৬ মাসের পরিচালন ব্যয়ের সমান ঋণ দেয়া, যা ৪ শতাংশ সুদে ২৪টি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। এ ঋণ পরিশোধ শুরু হবে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে।

চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি এক বছরের জন্য মওকুফ করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণে এক বছরের জন্য ৪৫০ টাকা নেয়। বিনিয়োগকারীরা এ মুহূর্তে শেয়ারবাজার বন্ধ থাকায় লোকসান গুণছে। এ পরিস্থিতিতে সিডিবিএলের আগামী ১ বছর বিও ফি মওকুফ করা প্রয়োজন।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ শতাংশ সুদের বিশেষ ফান্ডের ব্যবস্থা করে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, যা শেয়ারবাজারের জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেই ফান্ডের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার জন্য বিশেষ ফান্ডের সুদের হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করতে হবে।’

লেনদেনের ওপর নেয়া অগ্রিম কর এক বছরের জন্য মওকুফের দাবি জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে লেনদেন বন্ধ থাকায় ট্রেকহোল্ডাররা বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে পড়ে গেছে। তাই ট্রেকহোল্ডারদের রক্ষায় এই মুহূর্তে লেনদেনের ওপর আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর আওতায় ৫৩বিবিবি অধীনে যে দশমিক শূন্য ৫ হারে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) নেয়া হয়, তা ১ অর্থবছরের জন্য পূর্ণ মওকুফ করা প্রয়োজন।’