দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইউজিসি অধ্যাপক এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে এবং দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে এ বছর নিয়ন্ত্রিতভাবে ঈদ করার অনুরোধ জানান তিনি।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ বলেন, জাঁকজমক করে ঈদ করার চেয়ে জীবনটা বড়। বেঁচে থাকলে উৎসব করে ঈদ আবার করা যাবে। কিন্তু ঈদ করতে গিয়ে যেন জীবন ঝুঁকিতে না পড়ে সেদিকে সবার নজর দিতে হবে।

সবাইকে নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তুা করতে হবে। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা ইতোমধ্যে নানা উপায়ে ঢাকা ছেড়েছেন তারা সেখানেই অবস্থান করুন। যারা এখনও কোথাও যাননি, তারা বাড়িতেই থাকুন।

মসজিদে ঈদের নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকুন। সৌদি আরবেও এবার মসজিদে ঈদের নামাজ হবে না। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে সর্বস্তরে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। এছাড়া ঈদের চিরাচরিত রীতিনীতি পরিহার করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এবারের ঈদে সবাই মিলে আমোদ-ফুর্তি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

অনেকে একত্রিত হয়ে এখানে সেখানে ঘুরতে যাওয়া যাবে না। কোনোভাবেই কোলাকুলি করা যাবে না। এমনকি আমাদের দেশের দীর্ঘদিনের প্রচলিত সামাজিক আচার অনুযায়ী ঈদে মুরব্বিদের সালাম করা এবং সালামি নেয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ বলেন, সুস্থ থাকতে সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। কাশি বা হাঁচি দেয়ার সময় মুখ ও নাক কনুই দিয়ে বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

ব্যবহৃত টিস্যুটি তাৎক্ষণিকভাবে নির্দিষ্ট স্থানে (ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার স্থানে) ফেলে দিতে হবে। ঠাণ্ডা লেগেছে বা জ্বরের লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে এবং নিজের বা পরিবারের কারও জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন তিনি।

এসবের পাশপাশি বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে নানা ধরনের জিনিসপত্র ও ভোগ্যসামগ্রী কেনাকাটা না করে সেই টাকা দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করুন। করোনার কারণে দেশের দরিদ্ররা কষ্টে রয়েছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য।