দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনা সংকটের মধ্যেই ভারতে শুরু হয়েছে আরেক দুর্যোগ। দেশটির একাধিক রাজ্যে হামলা শুরু হয়েছে পঙ্গপালের হানা। করোনা মোকাবেলার লকডাউনে দেশটিতে কৃষিখাতেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আশংকা দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকটের।

পঙ্গপালের আক্রমণের কারণে এই সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে। ভারতের আগে এই পঙ্গপালের দলটি পাকিস্তানেও হামলা চালিয়েছিল। সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকার শষ্য খেয়ে শেষ করে ফেলেছে। ভারতের পর এই দলটি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। তবে চলতি বছরের মধ্যে এ আশংকা কম।

গত কয়েক দিন ধরে ভারতের পশ্চিম ও মধ্য অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালের তাণ্ডব চলছে। দেশটির রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের একাধিক গ্রামে ও শহরে ঢুকে পড়েছে পঙ্গপালের দল। হানা দিয়েছে ফসলের জমিতে। লকডাউনের সময়ে তাতেই বড়সড় বিপদ দেখছেন কৃষকরা। খবর আনন্দবাজারের

সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে এ দেশে পঙ্গপাল দেখা যায়। কিন্তু এ বছর কিছুটা আগেই হানা দিয়েছে তারা। পতঙ্গবিদরা বলছেন, পঙ্গপালের এক একটি দল আকারে প্যারিস শহরের মতো বড় হতে পারে। তার থেকেও বড় আশঙ্কা, ওই আকারের পঙ্গপালের একটি দলের অর্ধেক ফ্রান্সবাসীর মতো খাবার খাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। পূর্ব মহারাষ্ট্রের চার ও পাঁচটি গ্রামে হানা দিয়েছে পঙ্গপাল।

ফসল বাঁচাতে ইতিমধ্যেই জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করতে শুরু করেছেন কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশের মথুরাতেও হানা দিয়েছে পঙ্গপাল। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। পাকিস্তান পেরিয়ে এপ্রিলের প্রথম দিকে রাজস্থানে ঢুকেছিল পঙ্গপালের দল। সে সময় জয়পুর শহরেও দেখা গিয়েছিল পঙ্গপাল। এর পর তা ছড়িয়ে পড়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে।

বিভিন্ন রাজ্যে পঙ্গপাল যে হানা দিয়েছে তা নিয়ে গত সপ্তাহেই সতর্কবার্তা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। তা দেশের রাজধানী দিল্লিতেও ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ২০১৯-এও গুজরাতে এমনি পঙ্গপালের ঝাঁক হামলা চালিয়েছিল।তার জেরে ২৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছিল ওই রাজ্যে। কিন্তু তার থেকেও এ বারের হানা আরও বেশি উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।