দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও বসে নেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাহতদের চিকিৎসা সেবাদানকারী এই মুক্তিযোদ্ধাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ধানমন্ডিতে তার বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে। কিন্তু গত সোমবার বিকালে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরদিনই চলে যান ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে। সেখানে তাঁর ডায়ালাইসিস হয়। এরপর নেন প্লাজমা থেরাপি।

সেখানে চিকিৎসকদের নানা পরামর্শও দেন তিনি। এরপর বাড়িতে ফিরে যান। মঙ্গলবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। অবশ্য বিকালে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও। বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে ফলমূল নিয়ে যান তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

আরও পড়ুন…….

করোনা ভাইরাসের ‘হটস্পট’ ঢাকা নগরী, ১৫ হাজার ৫৫৩ জন শনাক্ত 

করোনা টেস্টে বাড়তি টাকা নিচ্ছে স্কয়ার ও মর্ডান হাসপাতাল 

ছয় ইস্যুতে ভারতের প্রতি চড়াও চীন 

এরপর তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েন। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ফের চলে আসেন গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে। সেখানে তার ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি দ্বিতীয় প্লাজমা থেরাপি চলে। এ জন্য তার শরীরে পুশ করা হয় এক ব্যাগ রক্তও। এতে অনেকটা চাঙ্গা হয়ে ওঠেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে গতকাল দুপুর ১২টায় বাসায় ফিরে যান তিনি।

প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর দৈনিক এক পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। নিজে এটা নিয়ে তা বুঝতে পারছি। গতকাল শারীরিকভাবে বেশ দুর্বলতা অনুভব করছিলাম। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এসে এক ব্যাগ রক্ত নিতে হয়েছে। নিয়মিত কিডনি চিকিৎসার অংশ হিসেবে ডায়ালাইসিস করতে হয়েছে। কিন্তু প্লাজমা থেরাপি নেওয়ার পর চাঙ্গা হয়ে উঠেছি। এ থেরাপি সব করোনা রোগীর পাওয়া দরকার।

আরও পড়ুন…….

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গিয়ে রক্ত নিয়ে, কিডনি ডায়ালাইসিস করে ও থেরাপি নিতে নিতে রাত ২টা বেজে যায়। তাই রাতে আর বাসায় ফেরেননি তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালেই ছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিছু সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। কিছু অর্থও লাগবে।

অর্থের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে গণস্বাস্থ্যের সম্পদের বিপরীতে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে নেব। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো যদি উড়োজাহাজে করে আনি, তাহলে দুই সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। সবকিছু মিলিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা সরঞ্জাম এনে স্থাপন করে ফেলতে পারব। সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন