দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘ বিরতির পর প্রথমদিনের যাত্রাটা ভালোই ছিল। তবে দ্বিতীয় দিনেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বাজার। আজ সোমবার দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য সূচকের ব্যাপক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬০ পয়েন্ট বা ১.৫০ শতাংশ কমেছে। তবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে।

পুঁজিবাজারে দরপতনের নেপেথ্যে শীর্ষ দুই কোম্পানি দরপতনকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে দীর্ঘ ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার উত্থানে শেষ হয় শেয়ারবাজারের লেনদেন। কিন্তু সোমবার শীর্ষ দুই কোম্পানির দরপতনের পুঁজিবাজারে সূচকের উর্ধ্বমুখী চেষ্টা করলেও দিনশেষে বড় পতন হয়েছে। এদিন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বড় ২ কোম্পানি গ্রামীণফোন ও স্কয়ার ফার্মার শেয়ার ধসে এই পতন হয়েছে।

আরও পড়ুন…….

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে জনতা ও সিটি ব্যাংক

আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৯৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২২ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৩০ পয়েন্টে, ১৩৪৭ পয়েন্টে এবং ৭৯৪ পয়েন্টে।

ডিএসইর আজকের পতনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন। সোমবার এই কোম্পানির দর পতন হয়েছে ১২.৪০ টাকা বা ৪.৮৫ শতাংশ। বড় মূলধনী এই কোম্পানির আজকের দর পতন সূচক কমিয়েছে ২৬.৩৫ পয়েন্ট। আর স্কয়ার ফার্মার ১৩.৯০ টাকা বা ৭.৩৩ শতাংশ দর পতনে সূচক কমেছে ১৯.৭৪ পয়েন্ট। এই ২ বড় মৌলভিত্তি কোম্পানির কারনে ৪৬.০৯ পয়েন্ট পতনে সার্বিকভাবে শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে।

আরও পড়ুন…….

আজ ডিএসইতে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৫৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৭টির বা ৮ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৭০টির বা ২২ শতাংশের এবং ২৩০টির বা ৭০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব সূচক কমেছে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৪১ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ১২৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩৪টির আর ৬২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে মাত্র ৫৫ কোটি ৮ লাভ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।