দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আগামী তিন বছরে করপোরেট কর ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে। সংগঠনটি মনে করে, করপোরেট কর কমানো হলে তা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এফবিসিসিআই নিজস্ব প্রস্তাব ও সদস্য সংগঠনের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দিয়েছে। আবার গত ১১ মে বাজেট প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ জানিয়ে একটি চিঠিও অর্থমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও অর্থবিভাগের সচিবকে দেওয়া হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

চিঠিতে করপোরেট কর কমানো ছাড়াও সংগঠনটি ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো, অগ্রিম আয়করের হার কমানো, শিল্পের কাঁচামাল থেকে অগ্রিম কর তুলে নেয়া, রেয়াতযোগ্য মূল্য সংযোজন করের হার ১০ শতাংশে নামানো এবং আমদানি শুল্ক নিয়ে বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছে।

করপোরেট কর আগামী তিন বছরে ২৫ শতাংশে নামানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। বিস্তারিত প্রস্তাবে এ বছর করপোরেট কর ৫ শতাংশ কমানোর অনুরোধ করা হয়। অগ্রিম আয়করের বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাব হলো, এটা ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হোক। শিল্পের কাঁচামালের ওপর থেকে অগ্রিম কর (এটি) পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পক্ষে এফবিসিসিআই। আর অন্যদের ক্ষেত্রে এটি দ্রুত সমন্বয়ের তাগিদ দেওয়া হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন…….

বিদেশীদের শেয়ার বিক্রির চাপ ও লকডাউন বাড়ার গুজবে পুঁজিবাজারে দরপতন

করোনার মহামারিতে জীবনযাত্রার মানের অবনতির যুক্তি দেখিয়ে এফবিসিসিআই ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর দাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। সংগঠনটির মতে, তিন কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ৪ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা দরকার। করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বিলাস পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো যেতে পারে।

দেশে সাধারণভাবে কোম্পানিগুলোর করপোরেট করহার ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ, কোনো কোম্পানি ১০০ টাকা মুনাফা করলে তাকে ৩৫ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হয়। অবশ্য কোম্পানিটি যদি পুঁজিবাজারের নিবন্ধিত হয়, সে ক্ষেত্রে করহার ২৫ শতাংশ। কয়েকটি ক্ষেত্রে এ হার ৪০-৪৫ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা বিভিন্ন সময় করপোরেট কর কমানোর তাগিদ দিয়েছেন। সরকারও কয়েকবার বাজেটের আগে করপোরেট কর কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে পরে সেখান থেকে সরে এসেছে।