দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সদ্য সাবেক শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) এক কমিশনারের শূন্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এতে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বিএসইসির কমিশন। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আবদুল হালিমকে বিএসইসির কমিশনার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চার বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়োগের তারিখ হতে তার মেয়াদ শুরু হবে।

গত ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। আর ২০ মে নিয়োগ পান দুই কমিশনার। আগে থেকে একজন কমিশনার ছিলেন দায়িত্বে। আজ নতুন আরেকজনকে নিয়োগের ফলে কমিশনের চার কমিশনারের পদ পূর্ণ হয়। আর শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূর্ণতা পেয়েছে। ৯ বছর পর এসে নতুন করে বিএসইসি পুনর্গঠিত হয়।

আরও পড়ুন…….

বিদেশীদের শেয়ার বিক্রির চাপ ও লকডাউন বাড়ার গুজবে পুঁজিবাজারে দরপতন

এর আগে ২০১০ সালের কেলেঙ্কারির পর বিধ্বস্ত শেয়ারবাজার মেরামতের জন্য পুনর্গঠিত বিএসইসির দায়িত্বে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তার হাত ধরে শেয়ারবাজারে বেশ কিছু আইনি সংস্কার হলেও বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রতিষ্ঠায় পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। ফলে ২০১০ সালের কেলেঙ্কারিতে বিধ্বস্ত শেয়ারবাজারে প্রাণ ফেরেনি।

দীর্ঘ নয় বছর দায়িত্ব পালনকালে শতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় খায়রুল কমিশন। যার বেশির ভাগই ছিল মানহীন। এ কারণে মানহীন কোম্পানির অনুমোদন দিয়ে বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন খায়রুল কমিশন। আর গত ১৪ মে যখন বিদায় নেন তখন বাজারকে রেখে যান ২০১১ সালের চেয়েও খারাপ অবস্থায়। বাজারের পতন ঠেকাতে বেঁধে দেয়া হয়েছে শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম।