দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওতে আসার প্রক্রিয়ায় থাকা ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আইনী সীমার চেয়ে কিছুটা বেশি মূল্য-ছাড় দিতে চায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। বিষয়টির অনুমতি চেয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছে কোম্পানিটি। বিএসইসি ও কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আজ রোববার (৭ জুন) ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এর পক্ষ থেকে বিএসইসিতে বাড়তি ছাড়ে শেয়ার বিক্রির অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ, বুক বিল্ডিং পদ্ধতির শর্ত অনুসারে প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নিলামের মাধ্যমে শেয়ারের একটি অংশ বিক্রি করতে হয়। যে দামে তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি শেষ হয়, সেটিকে বলা হয় কাট-অফ প্রাইস। আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে কাট-অফ প্রাইসের ১০ শতাংশ ছাড়ে শেয়ার বিক্রিরর প্রস্তাব করতে হয়।

কিন্তু ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ ১০ শতাংশের জায়গায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০ শতাংশ ছাড় বা কমে শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিএসইসির অনুমতি প্রয়োজন। তাই কোম্পানিটি আজ বিএসইসির কাছে অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন করেছে। বিএসইসির কমিশন বৈঠকে বিষয়টির অনুমোদন পেলে কাট-অফ প্রাইসের চেয়ে ২০ শতাংশ কম দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করবে তারা।

আরও পড়ুন…….

এ বিষয়ে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং বাজার উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে ওয়ালটন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের নিলাম শেষ হয়।

তাতে কোম্পানির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ হয় ৩১৫ টাকা। আইন অনুসারে, ওই মূল্যের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে তথা ২৮৩ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করার কথা। তবে কোম্পানিটির আবেদন অনুমোদন পেলে ওয়ালটন ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ কমে তথা ২৫২ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করবে।

পুঁজিবাজার থেকে ওয়ালটনের ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার কথা। এর মধ্যে ৬০ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। বাকী ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে।