দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানি ও ২ মিউচু্য়াল ফান্ডের পরিচালনা পর্ষদ সভায় ৩১ মার্চ, ২০২০ সমাপ্ত সময়ের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ইপিএস বেড়েছে ২টি , কমেছে ৪টি। এছাড়া লোকসানে ২ কোম্পানি। নিম্নে কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের বিস্তারিত দেয়া হয়েছে।

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৭ টাকা গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৩২ টাকা।

আরও পড়ুন…….  

পুঁজিবাজারে সোনালী পেপার ২২ সুবিধায় তালিকাভুক্ত হচ্ছে 

তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.৪৬ টাকা , গত বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল,১.৩৬ টাকা। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৩.৩৬ টাকা।

ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি): কোম্পানি চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু’-মার্চ’২০) সহযোগী কোম্পানির আয়সহ আইসিবির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ১.৩৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ০৩৩ টাকা।

অন্যদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু’-মার্চ’২০) শুধু আইসিবির এককভাবে শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ১.৩০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ০.১৩ টাকা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) ছিল ঋণাত্মক। এ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান ০.৬২ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ০.৯০ টাকা।

প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) এককভাবে আইসিবির শেয়ার প্রতি লোকসান (Consolidated EPS) হয়েছে ০.৮৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছিল.০.৩৬ টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল মাইনাস ৩.৪২ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক, যার পরিমাণ ১৩.৩১ টাকা।

গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে সমন্বিতভাবে আইসিবির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২.৬১ টাকা। আর এককভাবে শেয়ার প্রতি দায় ৩.২৪ টাকা। ২০১৯ সালের ৩০ জুন আইসিবির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৪০.৫২ টাকা, আর এককভাবে ছিল ৩২.৮৫ টাকা।

আরও পড়ুন…….  

ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস: কোম্পানি চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু’-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪২ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৩৯ টাকা।

অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.২৬ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.০৩ টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ১.৩১ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ০.৮৯ টাকা। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য এনএভিপিএস ছিল ১৩.৪৭ টাকা।

খুলনা পাওয়ার কোম্পানি: কোম্পানি (জানু-মার্চ’২০) তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিক (জানু’-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০.৬৭ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়েও আয় ছিল ০.৮১ টাকা।

অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২.৬৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩.০৯ টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ৫.৭৯ টাকা। গত ৩১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৩.৮৩ টাকা।

এডিএন টেলিকম: কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিক (জানু-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জানা যায় তৃতীয় প্রান্তিক (জানু’-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৬ টাকা ( diluted)। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৬৫ টাকা ( diluted)।

এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.২৪ টাকা( diluted)। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.২৬ টাকা ( diluted)। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.২৩ টাকা নেগেটিভ। ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ২৪.২৩ টাকা।

বসুন্ধরা পেপার মিল: কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিক (জানু-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিক (জানু’-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.১৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৪২ টাকা।

এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৫৪ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১০.১২ টাকা। ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৪২.৯০ টাকা।

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২০-মার্চ’১৯) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল।

অন্যদিকে আলোচিত বছরের তিন প্রান্তিকে ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ৭৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৩৩ পয়সা। ৩১ মার্চ,২০ সমাপ্ত সময়ে ফান্ডটি বাজার মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ৮ টাকা ৩৮ পয়সা। একই সময়ে ক্রয় মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ১০ টাকা ৮৬ পয়সা।

সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি ১০ পয়সা আয় হয়েছিল।

অন্যদিকে আলোচিত বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই,১৯-মার্চ,২০) ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৭৮ পয়সা। ৩১ মার্চ,২০ সমাপ্ত সময়ে ফান্ডটি বাজার মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ৮ টাকা ৯৩ পয়সা। একই সময়ে একই সময়ে ক্রয় মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ১০ টকা ৮০ পয়সা।