দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জাতীয় সংসদে আগামী ২০২০-‌২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চের টিকিট খরচ বাড়বে। আগে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ছিল, নতুন অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টার ভাড়ার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা শুল্ক আরোপ হবে। আসবাবপত্র কেনায় মূসক বেড়েছে। ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে ।মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর কর বাড়ছে। কার ও জিপ রেজিস্ট্রেশনসহ বিআরটিএ প্রদত্ত অন্যান্য সার্ভিস ফির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরও পড়ুন…….  

প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শেষ হলো ৫০ মিনিটে 

সিরামিকের সিঙ্ক বেসিনের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। মধুর বাল্ক আমদানি শুল্ক বাড়ছে। বিদেশি মধুর দাম বাড়বে। এছাড়া বাজেটের প্রভাবে যেসব পণ্যের দাম বাড়বে- অনলাইন খাবার, অনলাইন কেনাকাটা, রঙ, বিদেশি টিভি, সিগারেট, সোডিয়াম সালফেট, আয়রন স্টিল, স্ক্রু, আলোকসজ্জা সামগ্রী, কম্প্রেসার শিল্পে ব্যহহৃত উপকরণ, বার্নিশ, বাইসাইকেল, আমদানি করা অ্যালকোহল, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন খরচ, শ্যাম্পু, জুস, ইন্টারনেট খরচ, আমদানি করা দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, মোবাইল খরচ, চকলেট, বিদেশি মোটরসাইকেল, বডি স্প্রে ইত্যাদি।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ।