দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: “অর্থনৈতিকউত্তরণ ও ভবিষ্যত পথপরিক্রমা” শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করতে যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন তার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে। এটি বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট এবং আওয়ামীলীগ সরকারের টানা ১২তম বাজেট। ডিএসই’র চেয়ারম্যান ইউনুছুর রহমানের পক্ষ থেকে এ অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

ডিএসই মনে করে এই বাজেট যুগান্তকারী, অভূতপূর্ব, ব্যবসাবান্ধব ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূল বাজেট। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের অর্জন ও উদ্ভুত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়নমূলক ও ব্যবসাবান্ধব যে সু-পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞ।

আরও পড়ুন…….  

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আরো অভিনন্দন জানাচ্ছে, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির সমন্বয়ের জন্য। পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ এবং গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রীকে ডিএসই আবারো আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছে।

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রণোদনা সমূহ: বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে শিল্পায়নের জন্য ব্যাংক নির্ভরতা কমানো, মানসম্পন্ন আইপিও বাড়াতে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেয়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের প্রদেয় লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ নগদে প্রদান বাধ্যতামূলক, বাজেটে অপ্রর্দশিত টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর পরিহারসহ বিভিন্ন প্রণোদনার জন্য ডিএসই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং আশা করছে সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের ফলে ক্রমবিকাশমান পুঁজিবাজার আরো গতিশীল হবে৷

এছাড়াও, অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শ্রমশক্তির অধিকতর অংশগ্রহণ। দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো দেশের পুঁজিবাজার। তাই “অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যত পথপরিক্রমার” অংশীদার হিসেবে প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজার সরকারের কাংক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে ডিএসই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে আবারও কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে।