দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। বেড়েছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম এবং সবকটি মূল্য সূচক। এতে আতঙ্কের এই বাজারে ৬৭৮ কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও লেনদেন খরা কাটছে না। সেই সঙ্গে প্রতিদিনই অপরিবর্তিত থাকছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪টির। আর ২৮৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে তার থেকে বেশি সংখ্যক’র দাম বাড়ায় বাজার মূলধন বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৯ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬৭৮ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন…….  

পুঁজিবাজার দরপতনের কারন কি, বিশ্লেষণ দরকার: অর্থমন্ত্রী  

এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৫৫ পয়েন্ট। বাকি দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৯ পয়েন্ট।

সূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের গতি। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ এক’শ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১৩৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা ৪৮ দশমিক ৮০ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৬৯১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোট লেনদেন কমেছে ৩৩৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা ৪৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘বি’ গ্রুপের অবদান ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের অবদান দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

আরও পড়ুন…….  

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। ১৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, এক্সিম ব্যাংক, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো), ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, লিন্ডে বিডি এবং গ্লাসকোস্মিথক্লাইন।