দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ আজ বিকালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে এখন পর্যন্ত ৮ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন আমরা দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরলাম। কোম্পানিগুলো সভায়, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সমাপ্ত সময়ের নীরিক্ষিত এবং ৩১ মার্চ, ২০২০ সমাপ্ত সময়ের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ও প্রকাশ করছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে ৮টি কোম্পানির ইপিএসের মধ্যে অধিকাংশ মুনাফায় ধ্বস।

আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২০ পয়সা।

অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ৩০ পয়সা। ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৩ টাকা ১৯ পয়সা।

ভিএফএস থ্রেড ডাইং : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিক (জানু-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিক (জানু’-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৬১ টাকা।

আরও পড়ুন…….  

পুঁজিবাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইজ থাকবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান 

এসিআইতে লোকসান ৯ মাসে ১১৯ কোটি টাকা 

এদিকে, ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৬৪ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৮১ টাকা। ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৭.৮৭ টাকা।

অ্যাপেক্স ট্যানারি লিমিটেড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাপেক্স ট্যানারি লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা।

গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ৬৫ পয়সা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল মাইনাস ৭ টাকা ৭৫ পয়সা বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ২০ টাকা ১৩ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৬৫ টাকা ৮৭ পয়সা।

আরও পড়ুন…….  

পুঁজিবাজার ইস্যুতে সরকারের সাথে আলোচনা করবে বিএসইসি 

সিজিআইএ গ্লোবাল কাউন্সিলের সদস্য হলেন অধ্যাপক নিজামী 

গোল্ডেন সন লিমিটেড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গোল্ডেন সন লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু’২০-মার্চ’২০) সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ গোল্ডেন সনের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ২১ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু’২০-মার্চ’২০) এককভাবে গোল্ডেন সনের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ২১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) সমন্বিতভাবে গোল্ডেনসনের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৭৫ পয়সা।

প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) এককভাবে গোল্ডেনসনের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৭৪ পয়সা। তিন প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ৪৩ পয়সা ছিল। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ পয়সা। আর এককভাবে এবার তিন প্রান্তিকে ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ১৬ পয়সা, যা গত বছর ছিল ৩৯ পয়সা।

সর্বশেষ প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল মাইনাস ৪২ পয়সা ছিল। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ পয়সা। আর এককভাবে এবার তিন প্রান্তিকে ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৪৭ পয়সা, যা গত বছর ছিল মাইনাস ২ পয়সা। গত ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২০ টাকা ১৮ পয়সা। আর এককভাবে এনএভিপিএস ছিল ২০ টাকা ৪২ পয়সা।

আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২০-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৮ পয়সা।

গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক তথা হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা।

তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ৪ টাকা ১২ পয়সা বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ১ টাকা ৮৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৫ টাকা ৪৩ পয়সা।

নর্দার্ণ জুট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নর্দার্ণ জুট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেে। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির আয় কমেছে ৫ টাকা ৭৬ পয়সা।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৭ পয়সা ও গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৭ টাকা ০৩ পয়সা। অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৪৫ পয়সা ও গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৮ টাকা ১২ পয়সা।

তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল মাইনাস ৫ টাকা ৭০ পয়সা ও আগের বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৭ টাকা ২৯ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৯১ টাকা ৭৯ পয়সা।

পূবালী ব্যাংক লিমিটেড : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পূবালী ব্যাংক লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। আর এর পুরোটাই নগদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। পূবালী ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচিত বছরে সমন্বিতভাবে অর্থাৎ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ পূবালী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৫৩ পয়সা (রিস্টেটেড) । অন্যদিকে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর সলো ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৩৩ পয়সা (রিস্টেটেড)।

আলোচিত বছরে পূবালী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল মাইনাস ৩২ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ৩ টাকা ৫৯ পয়সা। অন্যদিকে গত বছর এককভাবে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৪২ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা।

গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৭ টাকা ৬২ পয়সা, আর এককভাবে ২৭ টাকা ৭৭ পয়সা। আগামী ৩০ জুলাই, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্যাংকটির ৩৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এজিএমের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ জুলাই।

এটিসি শরীয়াহ ইউনিট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এটিসি শরীয়াহ ইউনিট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভায় ইউনিট হোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।৩১মার্চ,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ফান্ডটির ট্রাস্টি লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ট্রাস্টি কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান (ইপিউ) হয়েছে ২.১২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির বাজার মূল্য অনুসারে নিট সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা।