দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন সকলের সম্মনিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গড়ে তোলা হবে। বর্তমান পুঁজিবাজারের স্বার্থে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। তবে এটি (আস্থা ফেরানো) শুধু বিএসইসির একার কাজ নয়। এখানে অনেকগুলো পক্ষ আছে, তাদেরকেও নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে পুঁজিবাজারে দ্রুত আস্থা ফিরে আসবে।

রও পড়ুন…

করোনার মধ্যেও প্রভিশন ঘাটতিতে পুঁজিবাজারের ৮ ব্যাংক 

তিনি বলেন, প্রত্যেকেই বিএসইসির দিকে আঙ্গুল তুলে। কিন্তু বিএসইসি শুধুই রেগুলেটর। আমাদের প্রধান কাজ আইন-কানুন প্রণয়ন করা। আইনে দেওয়া এখতিয়ারের মধ্যে থেকে পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের বক্তব্য শুনি, কোনো সমস্যা থাকলে সমাধানের চেষ্টা করি, বাজারের কল্যাণে আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেটিও করা হয়। কিন্তু বিএসইসি বাজারে বিনিয়োগ বা ম্যানুপুলেট (কৃত্রিমভাবে শেয়ারের মূল্য পরিবর্তনের চেষ্টা) করতে পারে না। এটি সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষগুলোর কাজ।

আজ শনিবার (২০ জুন) সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড আয়োজিত পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারসহ সংশ্লিষ্ট খাতে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য প্রভাব বিষয়ক এক ওয়েবিনারে (ওয়েব সেমিনার) তিনি এ কথা বলেন।

রও পড়ুন…

আলোচনায় অংশ নেবেন বেসরকারি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক মঈনউদ্দীন এবং সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন। ওয়েবিনারে বিএসইসি চেয়ারম্যান বিনিয়োগকারী, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারহাউজ ও অন্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং বিএসইসিসহ সবার সম্মিলিত চেষ্টায় আস্থা ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজার সম্পর্কিত কিছু ইস্যু মিস হয়ে গেছে। কিছু প্রস্তাবনা আছে যেগুলো পুঁজিবাজারের জন্য অনুকূল নয়। যেমন পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ বছরের লক-ইন আরোপ, তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত কোম্পানির করপোরেট কর হারের ব্যবধান ১০ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা, জিরো কূপন বন্ডের কর সুবিধা তুলে নেওয়া। এছাড়া পুঁজিবাজারের স্বার্থে মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর কমানো, ব্রোকারহাউজের লেনদেনে উৎসে কর কমানোসহ আরও কিছু বিষয় বাজেটে বিবেচনা করলে ভালো হতে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রও পড়ুন…

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘুষ নিয়ে করোনা পরীক্ষা! 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে তিনি এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাকে বিষয়গুলো বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। এনবিআর চেয়ারম্যানকে তিনি বিঝানোর চেষ্টা করেছেন, শুধু কয়েকটি কোম্পানির কাছ থেকে কর আদায়ের চেষ্টা না করে পরিধি বাড়াতে। চাপের মাধ্যমে করের পরিমাণ খুব বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়, বরং কর কমিয়ে ব্যবসার সহজ পরিবেশ তৈরি করে দিলে যখন ব্যবসা বাড়বে, তখন স্বয়ংক্রিভাবে সরকারের রাজস্বও বাড়বে। আর এটিই হবে সবচেয়ে টেকসই।